ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় 'মোচা'। তবে এখনও তার গতিপথ নিয়ে সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সাথে বইবে ঝোড়ো হাওয়া।
প্রাথমিক ভাবে ওড়িশা এবং গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে ঘূর্ণিঝড় মোচার। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্তটি রয়েছে। সোমবার অর্থাৎ আজকে নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। পরে তা শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। এর ফলে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ৬০-৭০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়ার সাথে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া দপ্তর এও জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব শুধু পশ্চিমবঙ্গ বা ওড়িশাতেই পড়বে না, এর ফলে তামিলনাড়ু ও কেরালা উপকূলে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া হিমাচলপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, সিকিম, মহারাষ্ট্র, অরুণাচলপ্রদেশ, মেঘালয়, আসামেও ঘূর্ণিঝড়ের যথেষ্ট প্রভাব পড়বে। এই রাজ্যগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত এবং ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।
গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে প্রশাসনিক তৎপরতা রয়েছে। মৎস্যজীবী ও স্থানীয়দের উদ্দেশ্যে মাইকিং করা হচ্ছে। দীঘার সমুদ্রে উদ্ধার কাজের মহড়াও চালাচ্ছে বিপর্যয় মোকাবিলা দল। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছেন। কারণ বিগত বছরগুলিতে বহুবার ঝড়ের সাক্ষী থেকেছে সুন্দরবন, গোসাবা, সাগরের বাসিন্দারা। তাঁরা বলছেন, নদী বাঁধের অবস্থা ভালো নেই। যে কোনো মুহূর্তে বাঁধ ভেঙে গ্রামের ভিতর জল ঢুকতে পারে। তাঁদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে প্রশাসনের তরফ থেকে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন