এগরা, বজবজ, দুবরাজপুরের পর এবার মালদহ। মঙ্গলবার সকালে মালদহের ইংরেজবাজারে একটি বাজির দোকানে বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হলো ২ জনের। এই নিয়ে রাজ্যে শেষ এক সপ্তাহে বাজি বিস্ফোরণে মোট প্রাণ হারালেন ১৬ জন। প্রশাসনের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ বাজি ব্যবসায়ীদের একাংশ।
বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ যেন এখন নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজ্যে। গত সপ্তাহে এগরায় বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এরপর শনিবার বজবজে একটি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের জেরে প্রাণ হারান ৩ জন। আজ সকাল ৬টা ৪৫ মিনিট নাগাদ মালদহের ইংরেজবাজারের নেতাজি পুরবাজার এলাকায় একটি বাজির গুদামে বিস্ফোরণ হয়।
স্থানীয় সুত্রে খবর, অনেকেই তখন ঘুমাচ্ছিলেন। একের পর এক তীব্র আওয়াজ হতে থাকে। বাইরে বেরিয়ে আসতে দেখা যায় বাজির দোকানে আগুন লেগে বিস্ফোরণ হচ্ছে। ওই দোকানেই অগ্নিদগ্ধ প্রাণ হারিয়েছেন ১ শ্রমিক। আরও ৩ জন শ্রমিককে সঙ্কটজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয় ১ জনের।
স্থানীয়রা আরও জানান, এই বাজি ব্যবসার সাথে অনেকেই যুক্ত। ঘটনায় দু'জনের মৃত্যুতে আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয় বাজি ব্যবসায়ীরাও। আগুন লাগার ফলে দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে যায়। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্তও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি বলে জানা গেছে। আশেপাশে থাকা দোকানগুলি থেকে জিনিসপত্র অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। প্রচুর দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লাগছে জানিয়েছে দমকল কর্তৃপক্ষ। ধোঁয়ার জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এক দমকল কর্মীও।
অন্যদিকে, সোমবার বীরভূমের দুবরাজপুরে এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়। ওই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শেখ শফিকের পুত্র শেখ শাহরুখ এবং তাঁর ভাই শেখ মরিলালকে আটক করেছে পুলিশ। আজ ঘটনাস্থলে বম্ব স্কোয়াডের আধিকারিকরা গিয়ে সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখবেন।
বিস্ফোরণের জেরে রাজ্যজুড়ে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। সোমবার উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরের নীলগঞ্জ ইছাপুর পঞ্চায়েত এলাকা থেকে প্রায় ২০ হাজার কেজি বেআইনি বাজি উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় জাকির হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন