দলের অন্দরে যেভাবে কোন্দল বেড়ে চলেছে, তাতে খুব দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে অচিরেই ভয়ঙ্কর রূপ নেবে। এমনটাই মনে করছে গেরুয়া শিবির। বিক্ষুব্ধদের কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, কীভাবে তাঁদের ক্ষোভ প্রশমন করা যায়, এখন সেটাই চিন্তার বিষয়। রাজ্য নেতৃত্ব দিল্লির দ্বারস্থ হওয়ার কথাও ভেবেছে। পাল্টা অমিত শাহ-জেপি নাড্ডার কাছে যেতে চান বিক্ষুব্ধরাও।
বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশে ১০ জানুয়ারির মধ্যে সব জেলা কমিটি তৈরি হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। যুব, মহিলা-সহ সব মোর্চার রাজ্য কমিটি গঠনও শেষ হওয়ার কথা। বিজেপি সূত্রে খবর, তা হয়ে গেলেও দলের বর্তমান বিক্ষুব্ধ অবস্থায় নতুন কমিটি ঘোষণা স্থগিত রাখা হয়েছে। জানুয়ারির মধ্যে সব মণ্ডল কমিটি ঘোষণার কথা। কিন্তু তা কিছুই এগোয়নি জেলা কমিটি ঘোষণা না হওয়ায়। শুধু জেলা সভাপতিদের নাম প্রকাশিত হতেই যেভাবে পছন্দ-অপছন্দ নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে, তাতে অস্বস্তি বেড়েছে রাজ্য বিজেপির। ক্ষোভ বেড়েছে মতুয়া মহলেও।
সংসদ শান্তনু ঠাকুর ও অন্য বিক্ষুব্ধরা নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে আলাদা করে মিটিং করেছেন, বনভোজনের আনন্দে মেতে উঠেছেন। যদিও বনভোজনের সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই বলে তাঁরা দাবিও করেছেন। এসবের মধ্যেই জয়প্রকাশ মজুমদার ও রীতেশ তিওয়ারিকে শোকজ করা হয়েছে। কিন্তু তাঁদের কারওর মধ্যেই সেই শোকজের জবাব দেওয়ার তাড়াহুড়ো নেই। তা সূত্র মারফত জানতে পেরে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
কিন্তু তা সত্ত্বেও পরিস্থিতি কি নিয়ন্ত্রণে এসেছে? উল্টে রীতেশ তিওয়ারি আরও চড়া সুরে কথা বলছেন। তাহলে ভবিষ্যৎ কী? এমন অনেক প্রশ্নের উত্তর ও সমাধান খুঁজতে মঙ্গলবার জরুরি বৈঠক ডাকলেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বিজেপি সূত্রে খবর, ৬ নম্বর মুরলীধর লেনের এই বৈঠকে হাজির থাকতে পারেন সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় ও সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী। বাছাই রাজ্য নেতাদের ভার্চুয়াল মাধ্যমে থাকার কথা রয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন