যত লোকসভা নির্বাচন এগিয়ে আসছে তত বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে কোন্দল বাড়ছে। এবার বিতর্কের শিরোনামে বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা এবং বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য।
বিতর্কের সূত্রপাত বিশ্বভারতীর ফলকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম না রাখাকে কেন্দ্র করে। এই নিয়ে উপাচার্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রদর্শন করে প্রতিবাদ দেখায় তৃণমূলের। শাসকদলের সেই প্রতিবাদ মঞ্চে গিয়ে রবীন্দ্রনাথের মূর্তিতে মাল্যদান করেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা, যা নিয়ে শমীক ভাত্তাচার্যের কটাক্ষের মুখে পড়েন তিনি। যার জেরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি থেকে শুরু করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নাম না করে কটাক্ষ করেছেন অনুপম হাজরা। শমীক ভট্টাচার্যকে 'এসি ঘরে বসে থাকা তোতাপাখি' বলেও খোঁচা দিয়েছেন তিনি। পাল্টা সুর চড়িয়েছেন শমীক ভট্টাচার্যও। শমীক ভট্টাচার্যর উদ্দেশ্যে অনুপম বলেন, 'উনি আমাকে সংস্কৃতি শেখাতে এসেছেন? ওনার মতো আমি এসি ঘরে বসে থেকে রাজনীতি করি না। উনি তো শুধু শেখানো বুলি বলেই রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের মন রাখেন'।
শুধু শমীক ভট্টাচার্যই নয় অনুপমের নিশানা থেকে বাদ গেলেন না রাজ্যের অন্যান্য নেতারাও। তিনি বলেন, "রাজ্য থেকে একমাত্র আমাকে রাখা হয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় সংগঠনে। কিন্তু রাজ্যের ২৬ জনের কোর কমিটিতে আমার জায়গা হয়নি। কারণ ওনারা জানেন আমি ঢুকলে সমস্ত কিছু ঘেঁটে যাবে। দলের মধ্যেই যারা সিন্ডিকেট চালায় তারা সিন্ডিকেট চালাতে পারবে না"।
পাশাপাশি অনুপম বলেন, ‘‘দলের মধ্যে যে সমস্ত ভাইরাস আছে, সেই ভাইরাসকে আগে বের করুন। দরকার পড়লে দু’চারটে থাপ্পড় মারতে হয় মারুন। কোনো অসুবিধা নেই।’’
অনুপম হাজরার উদ্দেশ্যে পাল্টা সুর চড়িয়েছেন শমীক ভট্টাচার্যও। অনুপম হাজরার নাম না নিয়ে তিনি বলেন, "যদি কেউ মনে করে থাকেন তিনি বিজেপিতে এসেছেন বলে বিজেপি ধন্য হয়ে গেছেন তাহলে ভুল ভাবছেন। আসলে পার্টির উর্ধ্বে কেউ নন। এটা বিজেপির সংস্কৃতির সাথে যায় না। অনেকে আবার নির্বাচনের সময় অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে মাছের ঝোল ভাত খেতে গিয়েছিলেন। দেখছিলেন হজম হয় কিনা। প্রতিবাদ জানানোর জন্য তৃণমূলের অবস্থান মঞ্চে যাওয়ার কোনো যুক্তি নেই।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন