একুশের বিধানসভা ভোটে বিজেপির ভরাডুবির পর বঙ্গে আবার অমিত শাহ। তার সফর ঘিরে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা। এরই মাঝে দিলীপ ঘোষ-র খাস তালুক ঝাড়গ্রামে বিজেপিতে বড়সড় ভাঙনের খবর শোনা যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার বিজেপির ঝাড়গ্রাম জেলা কমিটির ১৬ জন সদস্য সহ জেলার প্রায় ১৮টি মন্ডল, নগর মন্ডল, শক্তিকেন্দ্র প্রমুখ সহ বুথ স্তরের সভাপতি, সম্পাদক, সদস্যরা বিজেপি ছাড়তে চেয়ে গণস্বাক্ষর করেছেন।
তবে এই দল ছাড়ার হিড়িক নতুন নয়। ২১ এর বিধানসভা ভোটে হেরে বিজেপি থেকে তৃণমূলে ঘরে ফিরেছেন বহু প্রভাবশালী নেতারা। সম্প্রতি, ব্যারাকপুর লোকসভার সাংসদ অর্জুন সিংকে নিয়ে টালমাটাল অবস্থা বিজেপির। এরই মাঝে এই দলত্যাগের হিড়িক কার্যত বিজেপির ক্ষেত্রে বড়ো ধাক্কা বলে মনে করছে বিরধী শিবির।
নবগঠিত জেলা কমিটির সদস্যদেরকে অযোগ্য বলে অসম্মান করার বিরুদ্ধে এই দলত্যাগ বলে জানা যাচ্ছে। ঐ বিক্ষুব্ধ নেতারা জেলা অফিসে পদত্যাগ পত্র জমা দিতে পারলেন না কেউ না থাকায়। তবে তাদের মধ্যে একজন বলেন, এই পদত্যাগ পত্র বিজেপির জেলাসভাপতিকে পাঠানো হবে।
এই প্রসঙ্গে বিনপুরের প্রাক্তন মন্ডল সভাপতি চন্দ্রশেখর প্রতিহার বলেন, “কোনও আলাপ-আলোচনা ছাড়াই আমায় জেলা কমিটির সদস্য করা হয়েছে। এই নেতৃত্বের সাথে কাজ করতে পারব না। মামলা-মকোদ্দমায় কর্মীদের এরা সাহায্য করছে না। কোনওরকম কর্মসূচি নিচ্ছে না। সাধারণ কর্মী হিসাবে কাজ করব। কোনও পদে থাকতে চাইনা”।
সূত্রের খবর, দলে যারা তৃণমূল থেকে এসেছে তাদেরকেই বেশী গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে যার ফলে পুরনো কর্মীদের মনোবল ভেঙ্গে যাচ্ছে। দলের মধ্যে তারা স্বাধীন ভাবে কাজ করতে পারছেন না। শালবনির মন্ডল সভাপতি পূর্ণচন্দ্রবাবু বলেন, “জেলা কমিটির বিরুদ্ধেই আমাদের ক্ষোভ। কর্মীদের কোনও সম্মান জানায় না এরা। তাই জেলা কমিটির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি”। যদিও এ বিষয়ে জেলা সভাপতির কোনো প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন