আগামী ২০২৪ সালের আগেই রাজ্যে সিএএ লাগু হবে। এমনটাই দাবি করলেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। আগামী ২০২৪-এ লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রাজনৈতিক শিবিরগুলি। গত বিধানসভা নির্বাচনী আবহে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে হাতিয়ার করেছিল গেরুয়া শিবির।
এতদিন বেশ চুপচাপ ছিল সব কিছু। কোনও পক্ষ থেকেই বিশেষ উচ্চবাচ্য করা হয়নি। কিন্তু ফের এই ইস্যুতে শমিকের বক্তব্যে আবার শোরগোল পড়ে গেল রাজ্যে। বিজেপি মুখপাত্র সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দিলেন যে, রাজ্যে সিএএ চালু হবে। ২০২৪-এর আগেই তা চালু হবে। লোকসভা নির্বাচনের আগে এই মন্তব্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
সাংবাদিক বৈঠকে শমীক বলেন, '২০২৪-এর আগেই রাজ্যে সিএএ চালু হবে। সেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। বস্তুত, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে আগেই সরব হয়েছিলেন মতুয়ারা। বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর চেয়েছিলেন যাতে সিএএ চালু হয়। খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলেই সিএএ চালু হবে। দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেছিলেন, সিএএ চালু করা যাবে না। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর জন্যই তা চালু করা যাচ্ছে না
সম্প্রতি, সিএএ চালু না হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন মতুয়ারা। খোদ বিজেপি সাংসদ দাবি করেন যে, একমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মতুয়াদের স্বার্থ নিয়ে চিন্তিত। এরইমধ্যে প্রকাশিত হয় পদ্মশিবিরের নতুন রাজ্য কমিটির তালিকা। তার জেরে ফের দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসে। ওই কমিটিতে মতুয়া সম্প্রদায়ের কোনও প্রতিনিধি নেই। ফলে ক্ষোভ বাড়তে থাকে বিজেপির অন্দরে। পরবর্তীতে তা চরম আকার নেয়।
দলের হোয়াটস্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করেন শান্তনু-সহ আরও অনেকে। বিক্ষুব্ধরা বিভিন্ন সময়ে বনভোজন করেন। যদিও শান্তনু ঠাকুর জানিয়েছিলেন, সেসবের সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক নেই। প্রসঙ্গত, নির্বাচনে বিজেপির ভোটব্যাংক অনেকটাই নির্ভর করে মতুয়াদের ওপর।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন