রাজ্য বিজেপিকে এখন পরিচালনা করছেন দলবদলুরা! হ্যাঁ, ঠিক এইরকম বিষ্ফোরক অভিযোগ তুলে দলের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। এই প্রসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডাকে একটি চিঠি লিখেছেন তিনি। তবে, এই চিঠির সত্যতা যাচাই করেনি পিপলস রিপোর্টার।
সূত্রের খবর, চিঠিতে যে যে অভিযোগ গুলি করা হয়েছে-
১) বিরোধী দলনেতা সহ দলের প্রবীণ সাংসদরাও তৃণমূল নেতৃত্বকে এমনভাবে আক্রমণ করছেন, মনে হচ্ছে তৃণমূলের দুই শিবিরের মধ্যে লড়াই চলছে।
২) বিজেপি বাংলায় মূলনীতি নিয়ে লড়াই করছে না। মানুষের মনে এমন ধারণা তৈরী হয়েছে, যেন সিবিআই বা ইডির জেরার মুখে পড়ে আরও অনেকেই বিজেপিতে যোগ দেবেন।
৩) রাজ্য বিজেপির উপর মানুষের ভরসা কমছে। 'দলবদলু' তৃণমূল নেতারাই বিজেপিকে পরিচালনা করছে।
৪) বিধানসভার আসন সংখ্যার নিরিখে বিজেপি রাজ্যে দ্বিতীয় শক্তি হলেও, রাজ্যে বিরোধীপক্ষ হিসেবে উত্থান হচ্ছে সিপিআই(এম)-র।
৫) সম্প্রতি কলকাতায় সিপিআই(এম)-র যুব শাখা (DYFI)-র কর্মসূচীতে ট্রেন, বাস ভাড়া না করেও ৩৫ হাজারের জমায়েত করা হয়েছিল। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচন ত্রিমূখী লড়াইয়ে পরিণত হবে।
তবে, চিঠিতে 'দলবদলু' হিসেবে বিজেপি নেতা কাকে বা কাদের ইঙ্গিত করেছেন তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। যা ঘিরে ইতিমধ্যেই তৈরী হয়েছে বিতর্ক। সায়ন্তনের নিশানায় শুভেন্দু অধিকারী রয়েছেন কিনা, সেটাও প্রশ্নের মুখে। কারণ, তৃণমূল ছেড়েই বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন শুভেন্দু। তবে, দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মুখ খুলতেও নারাজ বলে জানিয়েছেন সায়ন্তন।
যদিও, রাজ্য বিজেপি সায়ন্তনের এই অভিযোগগুলিকে গুরুত্ব দিতে চায়নি। তাঁদের একাংশের দাবি, সায়ন্তন বসু নিয়মিত কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ জানান। তাই দলের সাথে তাঁর দূরত্ব ক্রমশ বেড়েছে। জে পি নাড্ডা এই চিঠি সম্পর্কে কী ব্যবস্থা নেবেন বা আদৌ নেবেন কি না তা এখন পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। তাঁদের মতে, সায়ন্তন যেহেতু এখন রাজ্য বিজেপির কোনও বড় পদে নেই, তাই তাঁর লেখা চিঠির গুরুত্ব প্রশ্নের মুখে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন