রাষ্ট্রপতির সফরসঙ্গী হতে চলেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আগামীকাল ২ মার্চ রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ আফ্রিকা সফরে রওনা হচ্ছেন। আগেও একবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বিদেশ সফরে গিয়েছিলেন তিনি। সুতরাং রাষ্ট্রপতির সফরসঙ্গী হওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে দিলীপ ঘোষের। এবার মেদিনীপুরের সাংসদ ১১ দিনের জন্য রাষ্ট্রপতির সফরসঙ্গী হতে চলেছেন।
২০১৯ সালের আগস্ট মাসে রাষ্ট্রপতির আফ্রিকার তিন দেশে সফরে সঙ্গী হয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। রাষ্ট্রপতি সেবার বেনিন, গাম্বিয়া ও গিনিয়াতে গিয়েছিলেন। সাংসদ হওয়ার পর রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের আমেরিকা সফরেও সঙ্গে গিয়েছিলেন দিলীপ।
এদিকে, বঙ্গ রাজনৈতিক মহল মনে করছে, সাম্প্রতিককালে রাজ্য বিজেপির স্পটলাইট দিলীপ ঘোষের থেকে অন্যদিকে ঘুরে গিয়েছে। তাঁর নেতৃত্বেই গত লোকসভা নির্বাচনে বঙ্গে দাপট দেখিয়ে দ্বিতীয় শক্তিশালী রাজনৈতিক ফল হিসাবে প্রতিষ্ঠা করেছিল বিজেপি। আবার তাঁর নেতৃত্বেই ২০০-র স্বপ্ন দেখিয়ে ৭৭-এ থমকে গিয়েছিল বিধানসভা নির্বাচনে।
তারপরই দিনদিন দলের অন্তর্কোন্দল প্রকাশ্যে আসতে থাকে। দলের নানা নীতির বিরুদ্ধাচারণ করে বিক্ষুব্ধদের সংখ্যাবৃদ্ধি হতে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তাঁকে সরিয়ে রাজ্য বিজেপির সভাপতি করা হয় বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে।
এরইমধ্যে শোনা যাচ্ছিল যে, নিজের এলাকার বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেও তাঁর বনিবনা হচ্ছে না।
দলের সংগঠন নিয়ে অসন্তোষ দেখা দিলে সংঘ সভাপতি মোহন ভাগবতের সঙ্গে বৈঠক করেন দিলীপ। এককালে সংঘ প্রচারক থেকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি হন দিলীপ। এখন তিনি দলের সর্বভারতীয় সহসভাপতি। যদিও বিজেপিতে এই পদ ‘আলঙ্কারিক’ বলেই ধরা হয়।
এখন রাষ্ট্রপতির সফরসঙ্গী হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসতেই প্রশ্ন উঠেছে যে, এই সিদ্ধান্তে কি দলে তাঁর গুরুত্ব বাড়ল? নাকি কিছুদিনের জন্য রাজ্য রাজনীতি থেকে তাঁকে দূরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল দল?
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন