বঙ্গ বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব ক্রমশই জটিল আকার ধারণ করছে। রবিবার একদিকে সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের উদ্যোগে উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙায় বনভোজন করছেন বিক্ষুব্ধরা। অন্যদিকে দুই শীর্ষনেতাকে শোকজ করল রাজ্য নেতৃত্ব। এই শোকজ ইস্যুতে এবার বিদ্রোহী নেতারা শাহী দরবারে যাচ্ছেন, এমনটাই সূত্রের খবর। নয়াদিল্লিতে সংসদের অধিবেশন চলাকালীনই যাচ্ছেন বিক্ষুদ্ধ নেতারা। পাশাপাশি অমিত শাহ–জেপি নাড্ডার সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চেয়েছেন তাঁরা।
সোমবার ফের জেপি নাড্ডাকে চিঠি দিচ্ছেন বিজেপির মণ্ডলস্তরের একটা অংশ। তারপরই রাজধানী গিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দ্বারস্থ হবেন বিজেপির বিক্ষুব্ধরা। সেখানে ক্ষমতাসীন রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে নালিশ জানাবেন তাঁরা। রবিবার গোবরডাঙায় দলের বিদ্রোহীদের নিয়ে আয়োজিত পিকনিকে রাজ্যের সর্বত্র বিজেপি–বিক্ষুব্ধদের এককাট্টা করার ডাক দিয়েছেন শান্তনু ঠাকুর। এবার তাঁরাই যাবেন নয়াদিল্লিতে।
একুশের নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়ার পর থেকেই দলে বিক্ষুব্ধদের সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে থাকে। বিক্ষোভ দেখান কর্মী-সমর্থকরা। যখন তখন প্রকাশ্যে আস্তে থাকে দলীয় কোন্দল। কলকাতায় পুরসভা নির্বাচনেও ধরাশায়ী হয় বিজেপি। তারপর আরও কোন্দল বেড়েছে। এখন পদ্মশিবিরে চূডান্ত ডামাডোল। জেলা কমিটি গঠনের পর থেকে সেই দ্বন্দ্ব আরও চরমে উঠল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজ্য বিজেপি একদিকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দ্বারস্থ হয়েছে।
অন্যদিকে বিক্ষুব্ধ নেতাকে শোকজ করায় দিল্লি চললেন অন্য বিক্ষুব্ধ নেতারা। রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন বিধায়ক, নেতারা। তাতে আছেন বনগাঁর সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরও। সম্প্রতি কলকাতায় পোর্ট ট্রাস্টের গেস্ট হাউসে বৈঠকও করেছেন তাঁরা।
রবিবারই বিদ্রোহী দুই নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার–রীতেশ তিওয়ারিকে শোকজ করেছে বিজেপি। তাতে সই রয়েছে রাজ্য বিজেপির অফিস সেক্রেটারি প্রণয় রায়ের। চিঠি পেয়ে বিক্ষুব্ধ নেতারা সিদ্ধান্ত নেন, নয়াদিল্লিতে গিয়ে অমিত শাহ–জেপি নড্ডার সঙ্গে দেখা করে সমাধান চাইবেন তাঁরা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন