গত লোকসভা নির্বাচনের পর যেভাবে নিজেদের আধিপত্য স্থাপন করেছিল বিজেপি, গত বিধানসভা নির্বাচন থেকে সেই অবস্থার ক্রমশ অবনতি ঘটছে। পুরভোটের ফলপ্রকাশের পর দেখা গেল রাজ্যে প্রায় কোনও অস্তিত্বই নেই বিজেপির। এরপরই রাজ্যজুড়ে আত্মসমালোচনার পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল। পরাজয়ের কারণ খুঁজতে হচ্ছে চিন্তন বৈঠক।
সেই বৈঠকে দলকে আত্মসমালোচনার কথা বলেছিলেন হুগলির সাংসদ তথা সাধারণ সম্পাদক লকেট চট্টোপাধ্যায়। এবার তাঁকে পালটা বিঁধলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রবিবার প্রাতঃভ্রমণে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, 'সন্ত্রাস কতটা হচ্ছে, সেটা ময়দানে থাকলেই বোঝা যায়। যাঁরা ময়দানে থাকেন না, তাঁরা কীভাবেই বা বুঝবেন কোথায়, কতটা সন্ত্রাস হচ্ছে? আর এসব বললে চলবে কীভাবে?'
গত উপনির্বাচন থেকে নিজেদের পালে হাওয়া লেগেছিল বামেদের। পুরনির্বাচনে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল তারা। হতশ্রী অবস্থা গেরুয়া শিবিরের। সেই ফলাফল বিশ্লেষণে চিন্তন বৈঠকে ছিলেন সর্বভারতীয় মুখপাত্র অমিত মালব্য, সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বিএল সন্তোষও, সুকান্ত মজুমদার, লকেট চট্টোপাধ্যায়, অর্জুন সিং-সহ একাধিক শীর্ষ নেতা। তাৎপর্যপূর্ণভাবে গরহাজির ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
বৈঠকের শুরুতে প্রথমে দর্শকাসনে ছিলেন লকেট। পরে তিনি মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দলকে বার্তা দিয়ে বলেন, যেভাবে কমিটি তৈরি হয়েছে, তাতে যোগ্যতা বদলে কোটা গুরুত্ব পেয়েছে। পুরনোদের একেবারে সরিয়ে দেওয়া ঠিক হয়নি। সাংসদ, বিধায়কদের সংগঠন থেকে আলাদা করে দেওয়া হয়েছে।' ভোটে হারলেই বরাবর ‘শাসক দলের সন্ত্রাস’-এর অভিযোগ তুলেছে গেরুয়া শিবির। কিন্তু লকেটের সাফ কথা, 'শুধু সন্ত্রাস বললেই তো হবে না। নিজেদের দুর্বলতাটা স্বীকার করতে হবে।'
লকেটের এমন পরামর্শে অবাক নন কেউ। তিনি এই ধরনের কিছু বলতে পারেন, এমন আন্দাজ ছিলই। প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাসে বাংলায় লকেটকে দেখা যায়নি। উত্তরাখণ্ডে ভোটের আগে লকেট সহ-পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন