সব ঠিক থাকলে কয়েকদিনের মধ্যেই ফুলের রং বদল করছেন অভিনেতা জয় ব্যানার্জি। পদ্ম শিবিরে তিনি বেশ কয়েক দিন ধরেই বেসুরো। অসুস্থতার সময় দলকে পাশে পাননি বলে অভিযোগ। তাই রাজ্য রাজনীতিতে এটা জল্পনা ছিল যে, পদ্ম ছেড়ে ঘাসফুলে আসতে পারেন তিনি।
শনিবার বিকেলে তৃণমূল নেতা সুব্রত বক্সীর সঙ্গে বৈঠকও করেন। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে লিখিত আবেদনও করেছেন বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। আগামী মাসে বিধানসভা নির্বাচন গোয়ায়। তৃণমূল নেতৃত্ব এখন তা নিয়ে ব্যস্ত। তাই নির্বাচন মিটলেই ঘাসফুল শিবিরে পা রাখবেন তিনি।
এদিন সল্টলেকে জয় ব্যানার্জি বলেন, ‘বিজেপি করা যায় না। তাই আবার তৃণমূলে যুক্ত হতে চাই। আপনারা অনেকেই জানেন যে দল ছাড়ব বলে গত ৬ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলাম। আমি বিজেপিতে থাকছি না, সেটাও জানিয়েছিলাম। আমি ছোটবেলা থেকেই মানুষকে নিয়ে কারবার করেছি। সিনেমাও মানুষকে নিয়ে, রাজনীতিও তাই। সেই কারণে মানুষ যে দলের সঙ্গে আছে, আমি সেখানেই যাব।’
আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি জয় ব্যানার্জি তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি একসময় এই তৃণমূলেই ছিলাম। প্রাক্তন স্ত্রীর হাত ধরে এসেছিলাম। আমাকে ঘরেরই ছেলে বলা যায়। ২০১৪ সালে পথভ্রষ্ট হয়ে বিজেপিতে যাই। এই ৬-৭টা বছর আমার নষ্ট হয়েছে।'
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রে বিজেপি ক্ষমতায় আসার আগে থেকে বিজেপির সদস্য তিনি। ২০১৭ সালে তিনি জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য হন। একাধিকবার গেরুয়া শিবিরের টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও হেরে গিয়েছেন জয় ব্যানার্জি। শোনা যায়, অসুস্থ হওয়ার পর দলের তরফে কোনও সাহায্য পাননি। গতবছর বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন তাঁকে সরিয়ে জাতীয় কর্মসমিতিতে আনা হয় রাজীবকে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন