ফের অস্বস্তি বাড়ল গেরুয়া শিবিরের অন্দরে। দলীয় নীতি, সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে অনেকেই মুখ খুলেছিলেন। রাজ্যের দুই শীর্ষ নেতাকে ইতিমধ্যেই শোকজ করা হয়েছে। বিক্ষুব্ধদের তালিকায় আছেন বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুরও। এবার সেই পথেই পা বাড়ালেন বিজেপি নেতা জয় ব্যানার্জিও।
বেশ কিছুদিন ধরেই দলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুলছিলেন তিনি। ফলে দলে থাকা নিয়ে তিনি কী ভাবনাচিন্তা করছেন, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। এই জল্পনার মধ্যেই আজ তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে জয়ের। দলের সাংগঠনিক দিক থেকে বর্তমান পরিস্থিতিতে বিষয়টি অত্যন্ত ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
অভিনেতা জয় ব্যানার্জি বিজেপির সঙ্গে যুক্ত আছেন বহুদিন। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রে বিজেপি ক্ষমতায় আসার আগে থেকে বিজেপির সদস্য তিনি। ২০১৭ সালে তিনি জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য হন। একাধিকবার গেরুয়া শিবিরের টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও হেরে গিয়েছেন জয় ব্যানার্জি। শোনা যায়, অসুস্থ হওয়ার পর দলের তরফে কোনও সাহায্য পাননি। গতবছর বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন তাঁকে সরিয়ে জাতীয় কর্মসমিতিতে আনা হয় রাজীবকে।
তারপর থেকেই বেসুরো হয়েছিলেন জয় ব্যানার্জি। দলের বিরুদ্ধে একাধিকবার প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। নিজের মতামত জানিয়ে চিঠি লিখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। আর এদিকে বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে জয়ের। ফলে গুঞ্জন একটা ছিলই যে, বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে চলেছেন তিনি।
জানা গিয়েছে, আজ বিধাননগরে সুব্রত বক্সির সঙ্গে দেখা করবেন জয় ব্যানার্জি। রাজনৈতিক মহলে কানাঘুষো, শীঘ্রই তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেবেন জয়। সূত্রের খবর, গোয়ার নির্বাচনের পরই খাতায় কলমে ঘাসফুল শিবিরে পা রাখতে চলেছেন অভিনেতা জয়। তবে তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন