বঙ্গ–বিজেপিতে বিক্ষুব্ধদের ক্ষোভের পরিমাণ কমানোর বদলে আরও বেড়ে গেল। এবারও সেই আদি নেতাদের বদলে নতুন মুখদের গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হল বলে অভিযোগ উঠেছে। বিক্ষুব্ধরা যেমন আলাদাভাবে মিটিং করছেন, বনভোজন করছেন, কিন্তু তাঁরা কখনও এটা বলেননি যে, তাঁরা দল ছাড়তে পারে। বরং উল্টোটাই হয়েছে। তাঁরা বারবার বোঝাতে চেয়েছেন যে, তাঁরা বিজেপির অঙ্গ। তাঁরাই আদি বিজেপি।
বিক্ষুব্ধদের নিয়ন্ত্রণে আনতে রবিবারে বিদ্রোহী জয়প্রকাশ মজুমদার ও রিতেশ তিওয়ারিকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিদ্রোহের আঁচ আরও গনগনে হয়ে উঠেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। কারণ, সদ্য গঠিত জেলার দলীয় নব পরিচালন কমিটিতে জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারী। তিনি গেরুয়া শিবিরে নব্য। সুতরাং আদিদের মনে ক্ষোভ বাড়তে পারে বলে ওই জেলার রাজনৈতিক মহল মনে করছে।
এদিকে, পরিচালন কমিটির তালিকাতেও নেই আদি নেতারা। এই আদি নেতারা আবার রীতেশ তিওয়ারি, জয়প্রকাশ মজুমদার-দের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। সুতরাং বিক্ষুব্ধদের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে, সেব্যাপারে কোনও দ্বিমত নেই। মূলত যাঁরা তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদান করেছেন, তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হয়েছে। এই অভিযোগে ক্ষোভ বেড়েছে বিক্ষুব্ধদের। সেই ক্ষোভের আঁচে ঘি দিয়ে সৌমেন্দু অধিকারীকে কাঁথির সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।
শুধু তাই নয়, শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ মেঘনাদ পালকে তমলুক সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। শুভেন্দুর হাত ধরেই গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে তিনি তৃণমূল থেকে বিজেপিতে এসেছিলেন। নন্দীগ্রামে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন তিনি। এটা পরোক্ষে তাঁকে পুরস্কার দেওয়া হল বলে মনে করছেন আদিরা।
এই রদবদলে বাদ পড়েছেন বিজেপির আদি নেতা অসীম মিশ্র। সুতরাং পূর্ব মেদিনীপুরে বিজেপির সংগঠনে বিভাজন খুবই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। বিজেপির পক্ষ থেকে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, নিয়ম মেনেই নব পরিচালন কমিটির রদবদল করা হয়েছে। এতে অন্য কোনও ইস্যু খোঁজা ঠিক নয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন