দল থেকে সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার পর থেকে আরও চাঁচাছোলা ভাবে মন্তব্য করতে শুরু করেছেন বিদ্রোহী রীতেশ তিওয়ারি, জয়প্রকাশ মজুমদাররা। কে কতদিন দলে থেকে কাজ করে গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়েছেন, তা নিয়েও কটাক্ষ করেন তাঁরা। এবার বুধবার রাতে রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন)-এর দায়িত্বে থাকা অমিতাভ চক্রবর্তী ও বিজেপির সর্বভারতীয় আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যকে তোপ দেগে টুইট করেন রীতেশ।
তিনি অভিযোগ করে জানান যে, দলত্যাগীকেই জেলা কমিটির সভাপতি করা হয়েছে। রীতেশ লেখেন, ‘ভার্চুয়াল চক্রবর্তী ও ট্যুইটার মালব্যর বঙ্গ বিজেপি অসাধারণ! যে ভাস্কর দে ৬ মাস আগে দল ছেড়েছিল, তাঁকেই আলিপুরদুয়ার বিজেপি জেলা কমিটির সভাপতি নির্বাচন করা হয়েছে। লজ্জা।’
বুধবার যে আলিপুরদুয়ারের নতুন জেলা বিজেপি কমিটি গঠিত হয়েছে, তাতে সহ-সভাপতি হয়েছেন ভাস্কর দে। উল্টে ফেসবুকে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে তিনি অভিযোগ করেন, ‘আমি এতদিন হল দল ছেড়েছি। কেন একবছর পর জেলা কমিটিতে আমার নাম রাখা হবে?' বিস্ফোরক উদাহরণ টেনে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, 'আমি বিজেপির মতো দলের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক রাখতে চাই না। যে দলে টাকার বিনিময়ে টিকিট দেওয়া হয়, সেই দলের কোনও পদ আমি চাই না।’ স্বাভাবিক ভাবে ভাস্করের এই পোস্টে অস্বস্তিতে পড়েছে গেরুয়া শিবির।
রবিবার বেশ দৃঢ় ভাবেই রীতেশ জানিয়েছিলেন, ‘আমি জানি এসবের পিছনে নতুন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কোনও হাত নেই।’ তাহলে রীতেশের নিশানায় কারা? প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে। পাশাপাশি তিনি গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন নেতাকে 'তৎকাল' বলেও কটাক্ষ করেন। বিজেপি থেকে সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার পর বিক্ষুব্ধ এই বিজেপি নেতার যে দলের প্রতি অভিমান হয়েছে, তা তাঁর কথাতেই স্পষ্ট। তাঁকে সরানোর জন্য যাঁরা অভিসন্ধি করছেন, তাঁদের নিশানা করেন তিনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন