শ্মশানের জমিতে অবৈধভাবে স্টল নির্মাণ সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। শুক্রবার সকালে সেই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কাঁথি থানায় তলব করা হয়।
দীর্ঘদিন যাবৎ শ্মশানের জমিতে অবৈধ নির্মাণ চলতে থাকায় কাঁথির বর্তমান পুরপ্রধান সুবলকুমার মান্না সৌমেন্দুর বিরুদ্ধে কাঁথি থানায় এফআইআর দায়ের করেন। পাশাপাশি একই অভিযোগে সৌমেন্দুর তৎকালীন সহযোগী বাস্তুকার দিলীপকুমার সাহা, ঠিকাদার সতীনাথ দাস অধিকারী এবং গাড়ি চালক গোপাল সিংহের নামেও এফআইআর করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করা হলেও এখনও পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের বাইরেই রয়েছেন বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সহ-সভাপতি সৌমেন্দু অধিকারী। তবে শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কাঁথি পুরসভার বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় আলোকস্তম্ভ লাগানো নিয়েও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল শুভেন্দু অধিকারীর ভাইয়ের বিরুদ্ধে। মূলত সেই সংক্রান্ত জিজ্ঞাসাবাদের জন্যেও তাঁকে কাঁথি থানায় তলব করা হয়।
এখানেই শেষ নয়, শ্মশান দুর্নীতির পাশাপাশি পুরসভার ত্রিপল সহ একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে থানায় সৌমেন্দুর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ অস্বীকার করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিজেপি নেতা। গত ১১ আগস্ট এই মামলার উপর অন্তবর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দেয় আদালত। হাইকোর্টের নির্দেশে বলা হয়, গ্রেফতার করা যাবে না সৌমেন্দু অধিকারীকে।
তবে, এরপরেও বেশ কয়েকবার কাঁথি থানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয় তাঁকে। ফের আদালতের দ্বারস্থ হন বিজেপি নেতা। গত ২৯ সেপ্টেম্বর কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার বেঞ্চ সৌমেন্দুর গ্রেফাতারির উপর স্থগিতাদেশ জারি করে। পাশাপাশি আরও বলা হয়, মামলার তদন্তে সহযোগিতা করার জন্য থানায় নিয়মিত হাজিরা দিতে হবে তাঁকে। বিচারকের নির্দেশ অনুযায়ী শুক্রবার সকালে কেন্দ্রীয় বাহিনী সহ কাঁথি থানায় হাজিরা দেন সৌমেন্দু।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন