যারা মমতা ব্যানার্জীকে বিশ্বাস-ভরসা করেছিল, আজ তাঁরা বুঝতে পারছে যে ঠকেছে - তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে একথা বললেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। শুক্রবার সিপিআই(এম) পূর্ব বর্ধমান জেলা দপ্তরে সাংবাদিক বৈঠক করেন সেলিম। সেখান থেকেই রাজ্য এবং কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একাধিক বিষয়ে তোপ দাগেন তিনি।
৪ দিন ধরে চলা টেট উত্তীর্ণদের অনশন-বিক্ষোভের উপর পুলিশি আক্রমণের নিন্দা করে সেলিম বলেন, "গত ১৪-১৫ ঘণ্টা ধরে করুণাময়ীতে এ রাজ্যের পুলিশ, বিশেষত বিধাননগর কমিশনারেট তাণ্ডব চালাচ্ছে। শিক্ষিত বেকার ছেলেমেয়েরা দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগের জন্য অপেক্ষারত। তাঁরা পরীক্ষায় পাশ করে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করেছে। তাঁদের চাকরি না দিয়ে সেই পদগুলো নিলাম করেছে তৃণমূল।"
শিক্ষা দপ্তর, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ, স্কুল সার্ভিস কমিশন, কলেজ সার্ভিস কমিশন, পাবলিক সার্ভিস কমিশন সহ সর্বত্র দুর্নীতি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নিজস্ব দপ্তর 'গ্রুপ ডি' এই পরীক্ষাগুলো নিয়েছিল। সরাসরি সেখানে দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ সেলিমের।
তিনি আরও বলেন, "গতকাল রাতে করুণাময়ীতে বাম ছাত্র-যুবর পাশাপাশি আমাদের চিকিৎসক, আইনজীবীও গিয়েছিলেন। পুলিশ কিন্তু ১৪৪ ধারা কতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত তা বলতে পারেনি। ৩ জন চাকরিপ্রার্থীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না কেন সেটা মুখ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করুন। জরুরি অবস্থার সময় থেকে এখনও পর্যন্ত, তিনি কখনও ন্যায়ের পক্ষে ছিলেন না। রাজ্যের মানুষ এখন মুক্তি চাইছেন দুর্নীতি থেকে। পরিত্রাণ চাইছে এই অরাজকতা থেকে।"
সিপিআই(এম) নেতার কথায়, এই যে রণক্ষেত্র তৈরী হচ্ছে এ কার অবদান? গতকাল রাতে কোন অর্ডারে চাকরিপ্রার্থীদের তুলে দেওয়া হল? আমরা এর বিরুদ্ধে আদালতে যাব। ছাত্র যুবরা আন্দোলন শুরুর আগেই তাঁদের আটক করা হল কেন? এর জবাব দিতেই হবে পুলিশকে। আমি চাই মুখ্যমন্ত্রীর চাকরি যাক, তাহলে বাকি সবার চাকরি বেঁচে যাবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন