উত্তপ্ত সন্দেশখালি পরিস্থিতি দেখতে সোমবার দুপুরে সেখানে পৌঁছান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এদিন সন্দেশখালিতে রাজ্যপাল পৌঁছানোর আগে থেকেই হাতে প্লাক্যার্ড নিয়ে রাস্তায় অপেক্ষা করছিলেন গ্রামবাসীরা। যার মধ্যে সিংহভাগই মহিলা। রাজ্যপালের কনভয় পৌঁছাতেই, তাঁকে ঘিরে ধরে একাধিক অভিযোগ জানাতে থাকেন তাঁরা। জমা দেওয়া হয় একটি লিখিত অভিযোগও। সব শুনে রাজ্যপালের আশ্বাস, শান্তি ফেরাতে সমস্ত পদক্ষেপ নেবেন।
সন্দেশখালির উত্তপ্ত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কেরালার সফর কাটছাঁট করে সোমবার সকালে কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। এরপর সেখান থেকেই কনভয়ে করে সন্দেশখালি যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন তিনি। যদিও রাস্তায় ফের বিক্ষোভের মুখে পরতে হয় তাঁকে। ১০০ দিনের বকেয়া মেটানোর দাবিতে এদিন মালঞ্চতে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। তাঁদের সঙ্গেও কথা বলেন রাজ্যপাল। এরপর দুপুর নাগাদ সন্দেশখালি পৌঁছান তিনি।
রাজ্যপাল পৌঁছাতেই তাঁকে ঘিরে অভিযোগ জানাতে শুরু করেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের অভিযোগ, মহিলাদের ওপর অত্যাচার করা হয়েছে সেখানে। শেখ শাহজাহান ও তাঁর দলবলের ভয়ে তাঁরা সিঁটিয়ে থাকেন। পুলিশ কোনও অভিযোগ নেয় না। এরপর পুলিশ এই এলাকা ছেড়ে চলে গেলে তাঁদের ওপর ভয়ঙ্কর নির্যাতন নেমে আসবে বলে আশঙ্কা সন্দেশখালির মহিলাদের।
গ্রামবাসীদের সমস্ত অভিযোগ শুনে, রাজ্যপাল আশ্বাস দেন, যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যা যা করা উচিত, তিনি করবেন। এরপর রাজ্যপালকে একটি লিখিত অভিযোগ জানান গ্রামের মহিলারা।
এদিন সন্দেশখালিতে যেসব মহিলারা রাজ্যপালকে অভিযোগ জানাতে এসেছিলেন, তাঁদের বেশিরভাগেরই মুখে কাপড় বাঁধা ছিল। কোনও কারণে নিজের পরিচয় প্রকাশ্যে আনতে চাইছেন না তাঁরা, ভয়ে রয়েছেন তাঁরা, তা ফুটে উঠছিল স্পষ্ট।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন