কর্মসংস্থান নিয়ে আশার কথা শোনালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাফ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই। নবান্নে করণ আদানি, হর্ষবর্ধন নেওটিয়া, সঞ্জীব পুরী, রুদ্র চট্টোপাধ্যায় ও সঞ্জীব গোয়েঙ্কার মতো দেশের তাবড় শিল্পপতিদের নিয়ে হওয়া বুধবার ইন্ডাস্ট্রিয়াল এমপাওয়ারমেন্ট কমিটির বৈঠকে এমনই আশার কথা শোনালেন মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বাংলাই আগামী দিনের শিল্প ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির গন্তব্য। আমাদের একমাত্র লক্ষ্য শিল্প। গত দশ বছরে এখানে বহু ছোট ও মাঝারি শিল্প হয়েছে। বিনিয়োগ হয়েছে সাড়ে চার লক্ষ কোটি টাকা। এখন আমাদের লক্ষ্য বড় শিল্প নির্মাণ করা। কীরকম শিল্প হতে চলেছে ভবিষ্যতে? কয়েকটি বড় শিল্পের উদাহরণ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে জমি চাইলে দু’মাসের মধ্যে ছাড়পত্র দিতে হবে। কোনওরকম গাফিলতি এক্ষেত্রে একেবারেই বরদাস্ত করা হবে না। একটি স্লোভেনিয়ান সংস্থা রাজ্যে বিনিয়োগ করতে চাইছে।
তাজপুরের পাশাপাশি দেউচা-পাঁচামিতে ১ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। জঙ্গলমহলের জঙ্গলসুন্দরী ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে ইতিমধ্যেই ৬০০ একর জমি দেওয়া হয়ে গিয়েছে। রাজারহাটের সিলিকন ভ্যালিতে আগামী পাঁচবছরে ৫০ হাজার, বানতলা ফুটওয়্যার পার্কে ৫ লক্ষ কর্মসংস্থান হবে। ব্যক্তিগত মালিকানাধীন ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে ৩১ কোটি টাকা বিনিয়োগে কর্মসংস্থান হবে ৩ লক্ষ ৫২ হাজার। আদানি পোর্টের কর্ণধার করণ আদানি শিল্প বৈঠকে জানান, তাঁরা তাজপুর ও কুলপিতে বিনিয়োগে আগ্রহী।
পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী জানান যে, এবারের বাণিজ্য সম্মেলনে ‘ডোমেস্টিক শিল্প’-কে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। এখনও কোভিড সংক্রমণ পুরোপুরি যায়নি। তাই হয়তো অনেক বিদেশি শিল্পপতি সম্মেলনে হাজির হতে পারবেন না। বাণিজ্য সম্মেলনকে সামনে রেখে শিল্পোন্নয়ন নিগমের সদস্য ও শিল্পপতিরা যাবেন বিভিন্ন শহরে। শিল্পপতি সঞ্জীব গোয়েঙ্কা পরামর্শ দেন, রাজ্যের প্রকল্পগুলির কথা বাংলার বাইরে প্রচার করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী সেই দায়িত্ব দিয়েছেন রাজ্যের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অমিত মিত্রকে।
প্রসঙ্গত, শিল্প ও কর্মসংস্থানের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর নজরে আছে দেউচা পাঁচামির খোলামুখ খনি। এই প্রকল্প একবার চালু হয়ে গেলে প্রচুর কর্মসংস্থান হবে বলে আশাবাদী তিনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন