বঙ্গ-ভোটে উলটপুরাণ। তৃণমূল প্রার্থীকে মাটিতে ফেলে জুতো দিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠলো বাম প্রার্থীর বিরুদ্ধে। নদিয়ার শান্তিপুরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের এই ঘটনা ঘিরে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।
তৃণমূল প্রার্থী সিন্ধা মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, সিপিআইএম প্রার্থী মৌমিতা মাহাতো দাস দীর্ঘক্ষণ ধরে তাঁকে হুমকি দিচ্ছিলেন। প্রতিবাদ করতে গেলেই মাটিতে ফেলে জুতো দিয়ে মারা হয় তাঁকে।
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সিপিআইএম প্রার্থী। তিনি বলেন, বহিরাগতদের এনে ছাপ্পা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন তৃণমূল প্রার্থী। বহিরাগতদের একজনকে ধরে ফেলে বামেরা। তাঁকে ছাড়াতে আসেন তৃণমূল প্রার্থী। তখনই ধস্তাধস্তিতে পড়ে যান তিনি। কোনো মারধর করা হয়নি তাঁকে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনায় বিশাল পুলিশবাহিনী আসে।
অন্যদিকে, শান্তিপুরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ১২৭ নম্বর বুথে তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে বহিরাগতকে এনে ভোট দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ তুললেন বাম ফ্রন্ট মনোনীত পার্থী তানিয়া মুখার্জি। হাতেনাতে ধরেও ফেলেন তিনি। যদিও ক্যামেরা দেখে অভিযুক্ত যুবকের দাবি তিনি তার দাদুর ভোট দিতে এসেছেন। এর পরেই তাকে প্রশ্ন করতেই দৌড়ে পালিয়ে যান তিনি।
তানিয়া মুখার্জির অভিযোগ প্রথম থেকেই শাসকদল ছাপ্পা দেওয়ার চেষ্টা করছে। বুথের ভেতর অনেকে পরিচয় পত্র ছাড়াই প্রবেশ করছে।
অন্যদিকে, কামারহাটির ২৯ নম্বর বুথেও ছাপ্পা ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, ছাপ্পা দেওয়ার জন্য বহিরাগতদের আনে তৃণমূল প্রার্থী। এলাকায় বোমা ছুড়ে ভোটারদের ভয় দেখানো হয়। পাল্টা রুখে দাঁড়ায় ভোটাররা। বহিরাগতদের ধরে ফেলে বেধড়ক গণধোলাই দেয় স্থানীয়রা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন