পুরভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বীকৃত প্রার্থী তালিকায় নাম রয়েছে তাঁদের। কিন্তু তবুও তাঁরা প্রার্থী হতে পারলেন না। তাঁদের মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগেই 'অন্যরা' তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন এবং তা গৃহীতও হয়েছে। বুধবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবার-সহ অন্য কয়েকটি জেলার একাধিক পুরসভায় এই ছবি দেখা গেল।
প্রথম ও দ্বিতীয় তালিকা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে চলতে থাকা বিভ্রান্তি এদিন ভিন্নমাত্রা পেয়েছে ডায়মন্ড হারবারে। তৃণমূলের এমন ৭ প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন, যাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বীকৃত তালিকাভুক্ত নয়। মনোনয়ন জমা দিয়েছেন দলের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ও তৃণমূলের সমাজমাধ্যমে প্রকাশিত তালিকায় থাকা প্রার্থীরা। কিন্তু তাৎপর্যের বিষয়, প্রতীক সার্টিফিকেট না পেয়ে যাঁরা মনোনয়ন দিতে পারেননি, তাঁদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
‘অনুমোদিত’ তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও ডায়মন্ড হারবারের বজবজ পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর পূর্ণেন্দু সরকার মনোনয়ন পেশ করতে পারেননি। তাঁর কথায়, ‘আমাকে বসিয়ে রেখে অন্যকে প্রার্থী করা হয়েছে। খুব খারাপ লাগছে। অভ্যন্তরীণ কলহ ঠিক নয়।’ ৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী হিসেবে ‘অনুমোদিত’ তালিকায় নাম থাকা দীপক নাইয়া বলেন, ‘চূড়ান্ত তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও মনোনয়ন জমা দিইনি। কারণ আমি নোংরামিতে যেতে চাইনি।' ভয়ে মনোনয়ন জমা দেননি ৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী নীলিমা হালদার। তিনি বলেন, ‘কাগজপত্র নিয়ে মনোনয়নের জন্য তৈরি ছিলাম। স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করলে ওঁরা জানিয়েছিলেন, দ্বিতীয় তালিকা নেওয়া হবে না। ফলে ভয়ে যাইনি।’ ১০ নম্বর ওয়ার্ডের সৌমেন তরফদার জানিয়েছেন, ‘মনোনয়ন জমা করার জন্য আমার কাছে নির্দেশ আসেনি। যিনি প্রার্থী হয়েছেন, তাঁকে সম্মান করি।'
তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘পারস্পরিক আলোচনায় যেটা ঠিক হয়েছিল সেটা আছে মোটামুটি। বাকিটা দেখতে হবে।’
তৃণমূলের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সভাপতি তথা পুরভোটের অন্যতম কোঅর্ডিনেটর শুভাশিস চক্রবর্তী বলেন, ‘প্রার্থীরা নিজেরা সর্বসম্মত ভাবে ঠিক করেছেন।’
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন