বকেয়া রয়েছে দেড় কোটি টাকা। সরকারি হাসপাতালে ওষুধ সরবরাহ বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছেন বিভিন্ন মেডিসিন ডিলাররা। যার জেরে বিপদে পড়তে হচ্ছে বহু গরিব পরিবারকে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থেকেও টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে ওষুধ। তাও আবার সরকারি হাসপাতালে। সম্প্রতি রাজ্যের একাধিক সরকারি হাসপাতালগুলিতে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
ওষুধ সরবরাহকারী এক সংস্থার কর্তা বলেন, দুটো হাসপাতাল মিলিয়ে প্রায় ৯০ লক্ষ টাকা বকেয়া আছে। জমি, বাড়ি বন্দক রেখে ব্যবসা করে এবার যদি ঐ টাকা না পাওয়া যায় তাহলে পথে বসতে হবে। বেসরকারী হাসপাতালে ওষুধ সরবরাহ করলে বকেয়া টাকা তবুও ফেরত পাওয়া যাবে। কিন্তু সরকারি হাসপাতাল থেকে কিছুই মিলছে না। এইভাবে চলতে থাকলে ওষুধ সরবরাহ বন্ধ করতে হবে।
কল্যাণীর হৃদরোগের হাসপাতাল গান্ধী মেমোরিয়ালে পেসমেকার বসানোর কাজ বন্ধ রয়েছে। রাজ্য সরকার পেসমেকার ভেন্ডারকে বকেয়া ৫০ লক্ষ টাকা না দেওয়ায় তিনি পেসমেকার দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন বলে জানা গেছে। শুধু তাই নয়, বুকে ব্যাথা নিয়ে যে সব রোগীরা হাসপাতালে আসেন, তাঁদের অনেককেই এনাক্সাপাইরিন নামক একটি ইনজেকশন দেওয়া হয়, যেটি শরীরে রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা সৃষ্টি করে। অধিকাংশ সময় হাসপালে এই ওষুধ থাকে না বলে অভিযোগ রোগীর আত্মীয়দের।
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী বারবার বিভিন্ন সভা থেকে নির্দেশ দেন যে সব নার্সিংহোমে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের ব্যবস্থা থাকা সত্বেও রোগীকে সুবিধা দেবে না তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হবে। সেই নার্সিংহোমের লাইসেন্সও বাতিল করে দেওয়া হবে। কিন্তু বাস্তবে তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। বেসরকারী হাসপাতালগুলির পাশাপাশি এবার সরকারি হাসপাতালেও জনসাধারণকে বিপাকে পড়তে হচ্ছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন