সিঙ্গুরে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ শুধু ভোটের সময় দেখা পাওয়া যায় নেতাদের। এলাকার কোনও উন্নয়ন হয়নি। পাল্টা তৃণমূ্লের ওপর দায় চাপালেন লকেট।
আর মাত্র ৫ দিন। তারপরই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। বিজেপি, তৃণমূল, সিপিআইএম, কংগ্রেস সব দলই প্রচারে ব্যস্ত। রবিবার সিঙ্গুরের আথালিয়া গ্রামে দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচারে যান লকেট চট্টোপাধ্যায়। সেখানেই তাঁকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। তাঁরা বলেন, শুধুমাত্র নির্বাচনের সময় খোঁজ খবর নিতে এলে কী করে হবে। অনেকেই সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। সেগুলো তো বিরোধী দলগুলিকেই দেখতে হবে।
লকেট অবশ্য গ্রামবাসীদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, আমি সাংসদ বলে আপনারা সমস্ত সরকারি সুবিধা পাবেন এটা হয় না। কারণ কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পগুলি রাজ্য সরকারের মাধ্যমেই আসে। আর সরকার চলাচ্ছে তৃণমূল। আপনাদেরকে তৃণমূল নেতারা ভুল বোঝাচ্ছে।
বিক্ষোভকারীরা বিজেপি সাংসদকে এও বলেন, সরকার তৃণমূল চালালেও বিরোধীদের উচিত গ্রামে আসা। মানুষের অভাব অভিযোগ শোনা। সে বিজেপি হোক বা সিপিআইএম। ভোট বলেই এসেছেন। খোঁজ নেওয়ার ইচ্ছা থাকলে আগেও নেওয়া যেতো। আগে কেন আসেননি?
সংবাদমাধ্যমের সামনে বিজেপি সাংসদ বলেন, তৃণমূল নিজেদের দুর্নীতি ঢাকতে মানুষের মধ্যে মিথ্যা তথ্য প্রচার করছে। আর গ্রামবাসীরা আমি আজ এসেছি বলে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে তেমনটা নয়। গ্রামে কোনও উন্নয়ন হয়নি, আবাস যোজনার ঘর এবং বার্ধক্য ভাতা সহ একাধিক সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পায়নি গ্রামবাসীরা।
প্রসঙ্গত, গত বছর এই সিঙ্গুরেই গ্যাসের দামবৃদ্ধি নিয়ে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল। গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেছিলেন, লকডাউনের সময় উজ্জ্বলা প্রকল্পে গ্যাস পেলেও অনেকে তা থেকে বঞ্চিত হন। কেরোসিন তেলের অস্বাভাবিক দামবৃদ্ধি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তাঁরা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন