পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচনে কড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। এবিপি-সি ভোটারের করা এক বুথফেরত সমীক্ষায় এরকমই ইঙ্গিত করা হয়েছে। এই বুথফেরত সমীক্ষায় একাধিক জেলায় তৃণমূলের ফলাফল খারাপ হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
বুথ ফেরত সমীক্ষার সম্ভাবনা অনুসারে, কোচবিহারে জেলা পরিষদ হাতছাড়া হতে পারে তৃণমূলের। এক্সিট পোল অনুসারে, এইবার কোচবিহারে বিজেপি ১৮ থেকে ২২টি জেলা পরিষদের আসনে জিততে পারে। অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস ১১ থেকে ১৭ টি আসন পেতে পারে। জেলায় বামফ্রন্ট-কংগ্রেস শূন্য থেকে ১টি আসন পেতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
একইভাবে, এক্সিট পোল অনুসারে, বিজেপি উত্তরবঙ্গের আরেকটি জেলা আলিপুরদুয়ারে জেলা পরিষদের নিয়ন্ত্রণ পেতে পারে। এক্সিট পোল অনুসারে, বিজেপি এই বার আলিপুরদুয়ারে ১০ থেকে ১৪টি জেলা পরিষদের আসনে জিততে পারে। তৃণমূল কংগ্রেস ৪ থেকে ৮টি আসন পেতে পারে। বামফ্রন্ট-কংগ্রেস শূন্য থেকে ১টি আসন পেতে পারে।
এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে সর্বাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে মুর্শিদাবাদ জেলায়। যে জেলায় কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই জেলায়, এক্সিট পোলের সম্ভাবনা অনুসারে, শাসক দল বিজেপির চেয়ে বামফ্রন্ট-কংগ্রেস-এর কাছ থেকে বেশি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে।
মুর্শিদাবাদে, এক্সিট পোল অনুসারে, তৃণমূল কংগ্রেস ৩৯ থেকে ৪৯টি জেলা পরিষদের আসন জিততে পারে। বামফ্রন্ট-কংগ্রেস পেতে পারে ২৬ থেকে ৩৬আসন। যেখানে বিজেপি ০ থেকে ৪টি আসন পেতে পারে।
একইভাবে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়, বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে কঠিন লড়াইয়ের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। এক্সিট পোল অনুসারে, পূর্ব মেদিনীপুরে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইতে তৃণমূল কংগ্রেস ৩৫ থেকে ৪৫ আসন এবং বিজেপি ২৬ থেকে ৩২ আসন পেতে পারে। এই জেলায় বামফ্রন্ট-কংগ্রেস ০ থেকে ২টি আসন পেতে পারে।
বিশ্লেষকরা মনে করেন যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সাধারণত রাজ্যের শাসক দল তাদের সামগ্রিক সংখ্যাগত আধিপত্য বজায় রাখে। সাধারণভাবে পঞ্চায়েত নির্বাচন ভোটারদের মনোভাব সম্পর্কে বেশ কিছু ইঙ্গিত দেয়; এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল তেমনই কোনও ইঙ্গিত দিতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন