কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে হাতে বিষের কৌটো নিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন মহিলারা। ঘটনাটি ঘটেছে রাজ্য রাজনীতির ভরকেন্দ্র হিসাবে পরিচিত নন্দীগ্রামে। আবার CPIM হামলা করেছে বলে, প্রশাসনিক কর্তাদের ফোন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইতে দেখা গেল নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ানকে।
পূর্ব মেদিনীপুরের বহু বুথে কোনও কেন্দ্রীয় বাহিনী নেই। এমনকি অধিকাংশ বুথে মাত্র একজন করে রাজ্য পুলিশের কর্মী রয়েছে। সকাল থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেছেন নন্দীগ্রামের বিভিন্ন এলাকার গ্রামবাসীরা।
মোহন জানা বাড় বোর্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বুথেও ছিল না কেন্দ্রীয় বাহিনী। বুথে একজন রাজ্য পুলিশ রয়েছে। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের মধ্যে এক মহিলা হাতে বিষের বোতল নিয়ে হুমকি দিতে শুরু করেন। পরে রাজ্য পুলিশের তরফে বাহিনী নিয়ে আশ্বাস দেওয়া হলে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। প্রায় ঘণ্টা তিনেক পর এই বুথে ভোট গ্রহণ শুরু হয়।
একই বিক্ষোভের ছবি দেখা গেছে মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী এজেন্ট শেখ সুফিয়ানের এলাকায় - নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের মহম্মদপুর-২ পঞ্চায়েতের তারাচাঁদবাড়ে ৬৭ এবং ৬৮ নম্বর বুথেও। কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে বুথে ঢুকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে স্থানীয়রা। বন্ধ হয়ে যায় ভোটগ্রহণ। বিক্ষোভের মুখে পড়েন শেখ সুফিয়ানও।
এরপর নিজেই প্রশাসনিক কর্তাদের ফোন করেন তিনি। তাঁকে বলতে শোনা যায়, “বিজেপি এবং সিপিআইএম হামলা করছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে হবে। আমি এসপি, ডিএমকে বলেছি। কিন্তু কেউ কোনও ফোর্স পাঠাচ্ছে না।’’ এর পর পুলিশের একটি কুইক রেসপন্স টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনী আসেনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন