তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হামলায় এবার প্রাণ হারালেন রাজিবুল হক নামে এক সিপিআইএম কর্মী। এমনটাই অভিযোগ বামেদের।
ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে। নির্বাচন ঘোষণার পর থেকেই একাধিকবার সিপিআইএম-তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে এই পূর্ব বর্ধমানে। শুক্রবারই দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত হন ৩২ বছরের রাজিবুল হক। শনিবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়।
সিপিআইএম-র অভিযোগ, আউসগ্রাম-২ ব্লকের বিষ্ণুপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৭ নম্বর বুথে ভোটকর্মীরা গিয়ে দেখেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান এবাদত শেখ ভোটকর্মীদের জন্য বাড়তি সুবিধা করে দিচ্ছিলেন। তাঁরা প্রতিবাদ করায় তাঁদের ওপর চড়াও হয় পঞ্চায়েত প্রধান ও তাঁর দলবল। বাঁশ দিয়ে মারা সিপিআইএম কর্মীদেরও। তাতে গুরুতর আহত হন রাজিবুল।
প্রথমে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয় তাঁকে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে মধ্যরাতেই কলকাতার এন আর এস-এ স্থানান্তরিত করা হয়। চিকিৎসকরা চেষ্টা করেও বাঁচাতে পারলেন না রাজিবুলকে।
শনিবার সকাল থেকেই বেশ থমথমে রয়েছে আউশগ্রামের ওই এলাকা। দু'পক্ষের মধ্যেই একটা চাপা উত্তেজনা কাজ করছে। ঘটনাস্থলে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্য পুলিশ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই নিয়ে মোট ২ জন সিপিআইএম কর্মীর মৃত্যু হলো। এর আগে চোপড়ায় মনোনয়ন পর্ব চলাকালীন গুলিবিদ্ধ হওয়া সিপিআইএম কর্মী মনসুর আলমের মৃত্যু হয়। ১৫ জুন উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় বিডিও অফিসে মিছিল করে মনোনয়ন জমা দিতে যাচ্ছিলেন বাম ও কংগ্রেস প্রার্থীরা। সেই সময় মিছিলের উপর আচমকা গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে শাসকদল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন মনসুর আলম সহ তিন জন। মনসুরের মাথায় গুলি লাগে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন