মনোনয়ন জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই বলে অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। যার জেরে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেবার পর কেউ যদি মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে চান তাহলে উপযুক্ত কারণ দেখাতে হবে। সোমবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সব জেলাশাসককে চিঠি দিয়ে এমনটাই জানানো হয়েছে। জেলাশাসকদের বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
কমিশনের চিঠিতে বলা হয়েছে, মনোনয়ন দাখিল করা প্রত্যেক প্রার্থীকেই মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে গেলে কারণ দর্শাতে হবে। উল্লেখ্য, রাজ্যের বহু জায়গাতেই জোর করে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে বাধ্য করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই কারণেই নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এখনও পর্যন্ত যা সিদ্ধান্ত তাতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে ১৫ জুন পর্যন্ত। যা শুরু হয়েছে গত ৯ জুন থেকে। আগামী ৮ জুলাই রাজ্যে একদফায় অনুষ্ঠিত হবে পঞ্চায়েত নির্বাচন। যদিও এই নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে এখন কলকাতা হাইকোর্টে চলছে শুনানি।
রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে। সোমবার প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলছে সকাল থেকে। দুপুরের বিরতির পর ফের শুরু হয়েছে শুনানি।
রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্বের প্রথম দিন থেকেই জেলায় জেলায় চলছে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ। সোমবার মনোনয়ন জমার তৃতীয় দিনও তার ব্যতিক্রম নয়। এদিনও পূর্ব বর্ধমান, উত্তর ২৪ পরগণা, বীরভূম থেকে বিক্ষিপ্ত গণ্ডগোলের খবর এসেছে। এই পরিস্থিতিতে বাম কংগ্রেস সহ বিরোধীদের পক্ষ থেকে মনোনয়ন নির্বিঘ্নে জমা দেবার ব্যবস্থা করার আর্জি জানানো হয়েছে। এর পরেই জেলাশাসকদের চিঠি দিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহারের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন