পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনা তৃণমূলে ভাঙন। পঞ্চায়েতে প্রার্থীপদের জন্য লক্ষ লক্ষ টাকায় টিকিট বিক্রি করছে তৃণমূল। এই অভিযোগ তুলে দল ছাড়লেন শতাধিক তৃণমূল কর্মী। আইএসএফ-এ যোগ দিয়েছেন তাঁরা। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার আগে থেকেই তৃণমূল ছেড়ে অনেকেই বিরোধী শিবিরে যোগ দিচ্ছিলেন। পঞ্চায়েত ঘোষণার পরও সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে। কুলপির কামারচক গ্রাম পঞ্চায়েতের দলত্যাগী তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা অভিযোগ করছেন, পঞ্চায়েতে তৃণমূলের টিকিট বিক্রি হচ্ছে ১০ লক্ষ টাকায়। ফলে সৎ প্রার্থীর জায়গা নেই। তাই আইএসএফ-এ যোগদান করছেন তাঁরা।
আইএসএফ চেয়ারম্যান নওশাদ সিদ্দিকি এই প্রসঙ্গে বলেন, তৃণমূল ছেড়ে যাঁরা এসেছেন তাঁদের স্বাগত। তৃণমূল দলটা কোনো ভালো মানুষ করতে পারে না। তাঁরা মনে করেছেন আইএসএফ যোগ্য দল, তাই এখানে এসেছেন। আমরা সকলকে একসাথে নিয়ে চলতে ভালোবাসি। আর আগামী পঞ্চায়েতে মানুষ সেটার উত্তরও দেবে।
স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের অবশ্য দাবি, কাউকে টাকা দিয়ে দলের টিকিট দেওয়া হচ্ছে না। আগেও কখনও এমন হয়নি, এবারেও হচ্ছে না। এক তৃণমূল নেতা বলেন, 'অভিযোগ করলে তো তার প্রমাণ লাগে। প্রমাণ নিয়ে এসে অভিযোগ করুক তাঁরা। যাঁরা গেছেন তাঁরা তৃণমূলে সক্রিয়ই ছিলেন না। পঞ্চায়েতের আগে অন্য দলে গেছে কিছু পাওয়ার জন্য। দলের প্রতি এঁদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই।'
শুধুমাত্র দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেই নয় টাকার বিনিময়ের টিকিট বিক্রির অভিযোগ উঠেছে বাঁকুড়াতেও। জানা গেছে, বাঁকুড়ার মেজিয়াতে তৃণমূলের পঞ্চায়েতের টিকিট বিক্রি হচ্ছে ১ লক্ষ টাকায়। পঞ্চায়েত সমিতির টিকিটের দাম ২ লক্ষ টাকা। যে বেশি টাকা দিতে পারবে তৃণমূলের প্রার্থী সে হবে। এই নিয়ে ব্লক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিক্ষোভও দেখিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। গতকাল সন্ধ্যায় প্রতীকী পথ অবরোধও করেন তাঁরা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন