রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্বের চতুর্থ দিনে একদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় সকাল থেকে উত্তপ্ত। অন্যদিকে পূর্ব বর্ধমানে সম্পূর্ণ অন্য ছবি। রীতিমত দল বেঁধে মিছিল করে এদিন আউশগ্রামে মনোনয়ন জমা দিলেন বাম প্রার্থীরা। বাম প্রার্থী ও কর্মী সমর্থকদের মিছিলের চড়া সুরের সামনে কোনো বাধা আসেনি। গতকাল বড়শূলে নজরকাড়া বাম প্রতিরোধের পর এদিন আগে থেকেই প্রস্তুত ছিলেন বাম কর্মী সমর্থকরা।
গুসকরার পূর্ব এবং পশ্চিম মিলিয়ে অধিকাংশ আসনেই মনোনয়ন জমা দিয়েছে বাম প্রার্থীরা। আউশগ্রামে শাসকদলের হুমকি উড়িয়ে বিরাট মিছিল করে এদিন বামেদের পক্ষ থেকে মনোনয়ন জমা করা হয়েছে।
এদিনও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় চলছে মনোনয়ন পর্ব। বিভিন্ন জেলায় দল বেঁধে উৎসবের মেজাজে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বাম প্রার্থীরা। এদিনই পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন অঞ্চলে মনোনয়ন জমা করেছেন বাম প্রার্থীরা।
এদিন সকাল থেকে ভাঙড়ে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ালেও পরে পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে। জানা যাচ্ছে তৃণমূলের বাধার মোকাবিলা করে অনেকেই মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পেরেছেন।
মঙ্গলবার সকালে ১৪৪ ধারা অমান্য করে ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের বিডিও অফিসের সামনে মেলার মাঠে সংঘর্ষ বাধে আইএসএফ এবং তৃণমূলের মধ্যে। সংঘর্ষে ব্যাপক বোমাবাজি এবং গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ প্রায় দেড়শোর বেশি বোমা পড়েছে এদিন। ভাঙড়ের ঘটনায় দ্রুত ব্যবস্থা নিতে জেলার পুলিশ সুপার এবং জেলাশাসককে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
উত্তপ্ত ভাঙড়ে আরাবুল ইসলাম ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তির গাড়িতে এদিন পাওয়া গেছে বোমা। গাড়ির ড্যাশবোর্ড থেকে উদ্ধার করা হয় তাজা বোমা। প্রশ্ন উঠেছে গাড়ির ড্যাশবোর্ডে করে বোমা কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল?
ভাঙড়ের ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি জানিয়েছেন, পুলিশের সামনেই তাণ্ডব চালিয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। অন্যদিকে কাশীপুর থানার আহত এসআই জানিয়েছেন কাঁচের বোতল ছুঁড়েছে আইএসএফ কর্মীরা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন