পুনর্নির্বাচনের দিন নির্বাচনী হিংসা সংক্রান্ত আরও দুটি মৃত্যু সংবাদ এল। দুজনই ৮ জুলাই, নির্বাচনের দিন পৃথক দুটি ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন। নিহতদের একজন তৃণমূল কর্মী এবং অপরজন সিপিআইএম কর্মী।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারিতে রাজ্যের মত ৬৯৬ বুথে সকাল ৭ টা থেকে শুরু হয়েছে পুনর্নির্বাচন। এরই মাঝে দুজনের মৃত্যু সংবাদ এল। নদিয়ার কৃষ্ণনগরের আনন্দবাসে মৃত্যু হয়েছে সিপিআইএম কর্মী শুকুর আলি শেখের। ভোটের দিন তাঁকে ব্য়াপক মারধর করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বাড়িতেই চিকিৎসা চলছিল তাঁর। আজ সকালে অবস্থার অবনতি হওয়ায় শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে পৌঁছানোর পর চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। শুকুর আলি শেখের পুত্রবধূ সুনীতা বিবি ভালুকা গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিআইএম প্রার্থী।
অন্যদিকে মুর্শিদাবাদের রানিনগরের সিরাজুল শেখ নামের এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। তিনিও ভোটের দিন আক্রান্ত হয়েছিলেন। অভিযোগ, ভোট দিয়ে ফেরার পথে কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বাঁশ, লাঠি দিয়ে তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে তাঁকে রেফার করা হয়। কিন্তু কলকাতায় নিয়ে আসার পথে মৃত্যু হয় তাঁর।
এক্ষেত্রেও অভিযোগ উঠেছে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। ভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে রবিবার বেলডাঙায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস কর্মীরা। যার জেরে সিরাজুল শেখকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। মাঝপথ থেকে ফিরিয়ে আনা হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেই কয়েকঘণ্টা পর মৃত্যু হয় তাঁর।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন