চলছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। সাতটায় শুরু হওয়া এই ভোট শেষ হওয়ার কথা বিকেল পাঁচটায়। কিন্তু কোথাও কোথাও দেখা গেল এক ঘণ্টায়, আড়াই ঘণ্টায় শেষ ভোট। ছাপ্পা মেরে ব্যালট বাক্স সিল করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে।
উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের একটি বুথে ১ ঘণ্টায় ভোট শেষ হয়ে যায়। ৭ টায় ভোট শুরু। ৮ টার সময় ব্যালট বাক্স গালা দিয়ে সিল করে দেওয়া হয়। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় দেখা যাচ্ছে বুথের ভেতরে নেই কোনো ভোটকর্মী। ভোটকর্মীদের অভিযোগ, জোর করে তাঁদের বাইরে বের করে দিয়ে দরজা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ দরজার ভেতরে ছাপ্পা দিয়েছে শাসকদলের কর্মীরা। এরপর বাক্স সিল করে দেওয়া হয়েছে।
কোচবিহারের খাটামারি এলাকার একটি বুথে আড়াই ঘণ্টায় শেষ হয়ে যায় ভোট। প্রিজাইডিং অফিসারের সামনেই দেদার ছাপ্পা মারা হয়েছে। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনেই বুথের ভেতর ভাঙচুর করা হয়। মারধর করা হয় প্রিজাইডিং অফিসারকে। জোর করে এসে ছাপ্পা দিল, দাবি প্রিজাইডিং অফিসারের। প্রাণভয়ে লুকিয়ে রয়েছেন ভোট কর্মীরা।
জানা গেছে এই বুথে লড়াই মূলত নির্দল বনাম তৃণমূলের। নির্দল প্রার্থীর অনুগামীরা প্রথমে এসে ছাপ্পা মারে। বাইরে ভোটের লাইনে ভোটাররা তখন দাঁড়িয়ে রয়েছেন। এরপর তৃণমূল প্রার্থী খবর পেয়ে দলবল নিয়ে বুথে আসেন। এবং ব্যাপক ভাঙচুর করে। ব্যালট বাক্সও ভাঙচুর করেন প্রার্থী। প্রিজাইডিং অফিসারকে মারধর করে শাসকদলের কর্মিরা।
আবার উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙায় টেবিলের উপর বোমা রেখে চলছে দেদার ছাপ্পা। আমডাঙার চণ্ডীগড় গ্রামের ৬৩ নম্বর বুথে দেদার ছাপ্পা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাসকদল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বুথের প্রিজাইডিং অফিসার জানিয়েছেন, "শান্তিতেই হচ্ছিল ভোট। ৪০ মিনিট পরে শাসকদলের কর্মীরা আসে। দরজা বন্ধ করে টেবিলে বোমা রেখে ভয় দেখিয়ে ছাপ্পা দিতে শুরু করে। প্রায় ৭৫ টি বোম পড়ে বাইরে। এরপর আইএসএফ সংঘটিত ভাবে প্রতিরোধ করে। বোম মেরে দরজা ভেঙে ফেলে তারা। আইএসএফ-এর হাতেও অস্ত্র ছিল।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন