পঞ্চায়েতের মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার প্রথম দিন থেকেই বিভিন্ন জেলায় অশান্তির ছবি সামনে এসেছে। মুর্শিদাবাদ, বর্ধমান, দক্ষিণ ২৪ পরগনা সহ একাধিক জেলায় বিরোধীদের বিরুদ্ধে শাসকদলের কর্মী সমর্থকদের মারার অভিযোগ উঠছে।
শনিবার মুর্শিদাবাদের রানিনগরে মিছিল করে যাচ্ছিলেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। তাঁদের অভিযোগ, বাম-কংগ্রেস মিলে হামলা চালিয়েছে। তৃণমূল কর্মীরা পাল্টা আক্রমণ করতে গেলে পুলিশ এসে পরিস্থিতির সামাল দেয়।
আবার মুর্শিদাবাদেরই শেখপাড়া বাজার মোড়ে মনোনয়ন জমা দিতে পারছে না বলে শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে পথ অবরোধ করছিলেন কংগ্রেস কর্মীরা। ওই সময় তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরাও মনোনয়নের উদ্দেশ্যে গেলে অবরোধে বাধা পায়। দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপেও মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায় তৃণমূল-সিপিআইএম-র মধ্যে। লাঠি নিয়ে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের তাড়া করেন সিপিআইএম কর্মীরা। বামেদের অভিযোগ, প্রথমে মনোনয়ন দিতে যেতে বাধা দেয় তৃণমূল। কাগজও কেড়ে নেয় শাসকদলের কর্মী সমর্থকরা। তাই প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ের বড়শূলেও একই ঘটনা ঘটেছে। বর্ধমান ২ ব্লকের সিপিআই(এম) প্রার্থী এবং কর্মীরা মিছিল করে মনোনয়ন দিতে যাওয়ার সময় বিডিও অফিসের আড়াই কিলোমিটার দুরে তাঁদের রাস্তা আটকায় তৃণমূল। সিপিআই(এম) কর্মীদের লক্ষ করে ইট ছোঁড়া হয়। মুহূর্তের মধ্যেই পাল্টা প্রতিরোধ করে সিপিআইএম। বাঁশ-লাঠি হাতে এগিয়ে এলে রাস্তার অন্য দিকে পালায় তৃণমূল কর্মীরা।
বীরভূমের নানুর ও সাঁইথিয়াতে অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। সিপিআইএম কর্মী সমর্থকদের অভিযোগ, মনোনয়ন জমা দিতে গেলে রাস্তার মাঝেই গাড়ি আটকে তাঁদের কর্মীদের মারধর করে তৃণমূল।
অন্যদিকে, উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁয় সিপিআইএমকে মনোনয়নে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বোমা, পিস্তল নিয়ে তাদের পার্টি অফিস ঘিরে রেখে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেছে সিপিআইএম নেতৃত্ব। এই ঘটনায় সিপিআইএম নেতা সায়নদীপ মিত্র, রানা রায় এবং সোমা চক্রবর্তী দাস আহত হয়েছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন