অবশেষে জীবনের লড়াইয়ে হার মানলেন চোপড়ায় মনোনয়ন পর্ব চলাকালীন গুলিবিদ্ধ হওয়া সিপিআইএম কর্মী মনসুর আলম। বুধবার ভোর সাড়ে ৩ টা নাগাদ শিলিগুড়ির এক বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় বছর একুশের ওই যুবকের।
সিপিআইএম রাজ্য কমিটির সম্পাদক মহম্মদ সেলিম নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় মনসুর আলমের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে শুরুতেই তিনি লিখেছেন, “ছেলেটা শেষ পর্যন্ত মারা গেল…”
শাসকদলের প্রতি ক্ষোভ উগরে তিনি লেখেন, “চোপড়ার গণতন্ত্র রক্ষার লড়াইয়ে শাসকদলের কাপুরুষোচিত অতর্কিত আক্রমণে কমরেড মনসুর তাঁর সর্বোচ্চ ত্যাগ করেছেন, শহিদের মৃত্যু বরণ করেছেন। ইতিহাস সাক্ষী থাকবে চোপড়ায় ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনকে প্রহসনের রূপ দেয় শাসকদল ও প্রশাসন, ঠিক তখনই নিজের প্রাণের বিনিময়ে এই নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে আঘাত হানেন মনসুর।“
রাজ্যের সর্বস্তরের মানুষ ও দলীয় কর্মীদের শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন সেলিম। গণতান্ত্রিক পথে লড়াই জারি রাখার বার্তা দিয়েছেন তিনি।
১৫ জুন উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় বিডিও অফিসে মিছিল করে মনোনয়ন জমা দিতে যাচ্ছিলেন বাম ও কংগ্রেস প্রার্থীরা। সেই সময় মিছিলের উপর আচমকা গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে শাসকদল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন মনসুর আলম সহ তিন জন। মনসুরের মাথায় গুলি লাগে। আজ ভোররাতে তাঁর মৃত্যু হয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন