আগামী ১২ তারিখ রাজ্যের বিভিন্ন কর্পোরেশন ও ২৭ তারিখ পুরসভাগুলিতে নির্বাচন সম্পন্ন হবে। তার আগে রাজ্যের নগরোন্নয়ন দফতর শূন্যপদ নিয়ে যে তথ্য দিল, তা চমকে উঠার মত। তথ্য বলছে, রাজ্যের পুরসভা এবং কর্পোরেশনগুলিতে শূন্যপদ বর্তমানে ৫৪ শতাংশ। শিলিগুড়ি, আসানসোল, চন্দননগর, বিধাননগরে শূন্যপদেই এই ভয়াবহ চিত্র সামনে এসেছে।
পুরসভা ও কর্পোরেশন মিলিয়ে মোট ১২৬টি সংস্থার অনুমোদিত শূন্যপদ ৭৯ হাজার ৩৯৬টি। কর্মী আছেন মাত্র ৩৭ হাজার ৮২ জন। শূন্যপদ ৫৪ শতাংশ অর্থাৎ ৪২ হাজার ৩১৪টি। রাজ্যের প্রাক্তন নগরোন্নয়নমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য বলেন, “কর্মপ্রার্থী যুবক-যুবতীরা কাজের জন্য ভিনরাজ্যে যাচ্ছেন। রাজ্য সরকার শূন্যপদে নিয়োগ বন্ধ রেখেছে। বামেদের আমলে নিয়মিত শূন্য পদে নিয়োগ হত। আর এই সরকার যুবসমাজকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে।”
ওই দফতরের এক আধিকারিক বলেন, শূন্যপদে কি ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা কল্পনা করা যায় না। যদিও এই পরিসংখ্যান ২০২০ সালের জুলাই পর্যন্ত। সরকার মনে করছে, তারপরে আর কেউ অবসর নেননি। সেই হিসেবে বেতন চলছে। তথ্য বলছে, ওই বছরের জুন মাসে কর্মী ছিল ৩৯ হাজার ১১১ জন। অর্থাৎ এক মাসের মধ্যে কর্মচারী কমেছে দুই হাজার। কলকাতা পুরসভার সরকার অনুমোদিত পদ ৪৭ হাজার ৮৫টি। কিন্তু কর্মী আছেন ১৮ হাজার ৮০০ জন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্ক নামে একটি বিভাগ চালু করে, যেখানে বেকার যুবক-যুবতীদের নাম লেখানোর কথা বলা হয়। আরও বলা হয় যে, সেখান থেকেই নিয়োগ করা হবে। দরকারে সরকারি ক্ষেত্রে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। যদিও সেখানে নাম লেখানো কুড়ি লক্ষ যুবক-যুবতীর এখনও কোনও চাকরি হয়নি। যে ক'জনের হয়েছে, তাঁদের কারও সরকারি ক্ষেত্রে কাজ হয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বলছে, ইন্টার্ন হিসেবে সরকারি কাজে নিয়োগ করা হবে।
অভিযোগ, তৃণমূলের আমলে ১-২ বছরের চুক্তিতে কাজে নিয়োগ করা হচ্ছে। অথবা অবসরপ্রাপ্তদের নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তরুণদের কাজের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন