তৃণমূল কংগ্রেস থাকবে আর তার মধ্যে লুট চলবে না তা হতে পারেনা। লুট নিয়ে দলাদলি চলবে না তা হতে পারেনা। তৃণমূলের এই লুট নিয়ে দলাদলি করতে করতে কেউ তৃণমূল হয়েছে কেউ তৃণমূল থেকে বিজেপি হয়েছে। এই দিনহাটা শহরেও তাই। ফলে তৃণমূল বিজেপির লড়াই আসলে নিজেদের আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব। তার ভিত্তি ছিলো লুট কে কত করতে পারে। এভাবেই তো মানুষের অধিকার লুট করে, ভোট লুট করে ৮৪ না ৮৭ শতাংশ ভোট পেয়ে গেছে। বিশ্বরেকর্ড। শনিবার কোচবিহারে এক সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানাই সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী।
এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সিপিআই(এম) নেতা বলেন, পশ্চিমবাংলায় যত পৌরসভা চলছে সব বেআইনি। রাজ্যে একটাও পুরসভা আইনি নেই। বেআইনি পুরসভা বেআইনিভাবে খরচ করছে। প্রশাসক যারা বসে আছেন জেলে যাওয়া উচিত। তিন বছর ধরে নির্বাচন হয়নি এরকম পুরসভা আছে। এই ভোটে মানুষ যদি স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারে তাহলে তৃণমূলের দুশ্চিন্তা আছে বুঝেই রাজ্যে কলকাতা বাদ দিয়ে অন্য কোথাও পুরভোট করা হচ্ছে না।
এদিন পুরভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পুরসভা নির্বাচন স্থানীয় ইস্যুর ভিত্তিতে হয়। সর্বভারতীয় বা রাজ্যের নির্বাচনে যে সমঝোতা প্রাসঙ্গিক হয় তা স্থানীয় স্তরের নির্বাচনে হয়না।
তিনি আরও বলেন, রাজ্যে কারোরই কোনো ভবিষ্যৎ নেই। যুবকের কোনো ভবিষ্যৎ নেই। দিল্লিওয়ালাদের দৌলতে দেশের শিক্ষিত ছেলেমেয়ে শ্রমিক কৃষকের সর্বনাশ হয়েছে। মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করাই একমাত্র ভবিষ্যৎ। আমরা সেই কাজটাই করছি।
নির্বাচনী জোট প্রসঙ্গে এদিন সুজন চক্রবর্তী বলেন, বামেরা কখনও নীতি আদর্শ ত্যাগ করে জোট করেনা। সেটা অন্যরা করে। তৃণমূল কখনও বিজেপির সঙ্গে থেকেছে, কখনও বিজেপির বিরুদ্ধে চলেছে। এরা নিজেদের স্বার্থ দেখে খেলার মত করে বিষয়টাকে দেখে। আমরা নীতির ভিত্তিতে চলি, ইস্যুর ভিত্তিতে চলি। জরুরি অবস্থার সময় গণতন্ত্রের পক্ষে সবাইকে জোটবদ্ধ করেছি। সাম্প্রদায়িকতা যখন বাড়ছে তখন তার বিরুদ্ধে আমরা সবাইকে জোটবদ্ধ করেছি। কর্পোরেট রাজনীতি চলবে না। মানুষের রাজনীতি করতে হবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন