চলতি বছরের মাধ্যমিকে প্রশ্নফাঁস রুখতে পরীক্ষা শুরুর আগে থেকেই একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল পর্ষদের তরফ থেকে। কিন্তু পরীক্ষা শুরু প্রথম দিন থেকেই বিশেষ করে মালদা জেলাতে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ উঠে আসছে। যার জেরে ইতিমধ্যেই বাতিল করা হয়েছে একাধিক পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা। এই নিয়ে বিজেপির পক্ষ থেকে পর্ষদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছিল। এদিন খোদ পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় সেই অভিযোগের জবাব দিলেন।
মঙ্গলবার মালদহে হাজির ছিলেন পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়। যে সমস্ত স্কুলে ‘প্রশ্ন ফাঁসে’র অভিযোগ উঠেছিল, সেই সমস্ত স্কুল পরিদর্শন করেন তিনি। কথা বলেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষা আধিকারিকদের সঙ্গে। বিকেলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রামানুজ।
বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়েছিল, পর্ষদের ‘কনফিডেন্সিয়াল সেকশন’-এ কর্মরত এক ব্যক্তি তৃণমূল ঘনিষ্ঠ। তাঁর ‘হাতযশে’ই প্রশ্ন ফাঁসের ধুম পড়েছে। মঙ্গলবার পর্ষদ সভাপতি সাংবাদিক বৈঠক করে সেই অভিযোগের পাল্টা জবাব দিয়ে বলেন, ‘‘অনেক জায়গায় মনে হতে পারে যে, কিউআর কোডের জন্য এগুলি সামনে আসছে। কিন্তু তার মানে এটা নয় যে, ‘কনফিডেন্সিয়াল সেকশন’-এ তিন জন সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্টের মধ্যে একজনকে নিশানা করা হবে।"
এখানেই শেষ নয়, এদিন রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় আরও জানান, "আরও এক জন আছেন যিনি একটি ইউনিয়নের পদে রয়েছেন। আমি খুব সন্ত্রস্ত যে, আবার বলবে অমুক আছে, তাহলে তাঁকে কেন রাখা হল? এ তো বোর্ড তুলে দেওয়ার মতো অবস্থা! এমন করলে আসছে বছর মাধ্যমিক হবে কি না আমি জানি না। আপনারা যে ভাবে প্রশ্নগুলোকে আমার সামনে নিয়ে আনছেন, আসছে বছর মাধ্যমিক করতে পারব না, যদি প্রতিটা ইউনিয়নের লোককে সরিয়ে দিতে হয়। সবাই এখন পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত।’’
ইতিমধ্যেই মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের জন্য পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে একাধিক পরীক্ষার্থীর। সোমবার ইতিহাস পরীক্ষার দিন মোট ন’জন পড়ুয়ার কাছ থেকে মোবাইল ফোন মিলেছে, তাদের মধ্যে তিন জন মালদহের। মঙ্গলবারও মালদহে পরীক্ষাকেন্দ্রের ভিতর থেকে সাতটি মোবাইল ও একটি স্মার্ট ওয়াচ ধরা পড়েছে। আট পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। অন্য একটি পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার সময় তল্লাশিতে ২৫টি মোবাইল পাওয়া গেছে বলেও জানা যাচ্ছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন