রাজ্য নির্বাচন কমিশন আগামী ডিসেম্বর মাসে কলকাতা এবং হাওড়ার দুটি পৌর কর্পোরেশন সহ ১১২ টি শহরে পৌর সংস্থার বাকি থাকা নির্বাচন পরিচালনার জন্য রাজ্য সরকারের সম্মতি চাইতে চলেছে। এই বিষয়ে সবুজ সংকেত পাওয়া গেলে, আগামী ৩০ অক্টোবর বিধানসভা উপনির্বাচনের পর এই নির্বাচনী বিজ্ঞপ্তি জারি হতে পারে।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, "মহামারী পরিস্থিতি এবং পরবর্তী লকডাউনের কারণে পুরসভা নির্বাচনগুলি ১৮ মাসেরও বেশি সময় ধরে বাকি আছে। আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই নির্বাচন সম্পন্ন করতে চাই। এরজন্য আমাদের অর্থ বিভাগের অনুমোদন প্রয়োজন। রাজ্য সরকার আমাদের ছাড়পত্র দিলে, আমরা তারিখ ঘোষণা করতে পারবো।”
অর্থ বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন আধিকারিক বলেন: "কমিশন ১১২ টি পৌরসভায় ভোট সম্পন্ন করার জন্য ১৮৫ কোটি টাকা চেয়েছে। যা পাঁচ বছর আগের ভোটের খরচের প্রায় দ্বিগুণ। আমরা এই বিষয়ে পর্যালোচনা করছি। শীঘ্রই মুখ্যমন্ত্রীর ছাড়পত্রের জন্য এটিকে পাঠানো হবে।"
নির্বাচন কমিশনের সূত্র অনুসারে, কমিশন তিনটি ধাপে এই নির্বাচন পরিচালনা করবে। যেখানে প্রথম দফায় কলকাতা এবং হাওড়া পৌর কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় দফায় দক্ষিণবঙ্গের পৌরসভা এবং বাকি পৌরসভাগুলির জন্য ভোট হবে এবং তৃতীয় দফায় ভোট হবে উত্তরবঙ্গে। সূত্র আরও ইঙ্গিত দিয়েছে যে, যদিও নির্বাচনের তারিখ এখনও চূড়ান্ত হয়নি, তবে নির্বাচন কমিশন ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে বা তার পরে দুই কর্পোরেশনের নির্বাচন পরিচালনা করতে ইচ্ছুক।
আর্থিক অনুমোদন ছাড়াও, নির্বাচন কমিশনকেও পুলিশি ব্যবস্থার দিকেও নজর দিতে হবে এবং ভোট ঘোষণার আগে কোভিড প্রোটোকল বজায় রাখার ব্যবস্থা নিতে হবে।
এক নির্বাচনী আধিকারিক জানিয়েছেন, "১১২ টি পৌরসভায় প্রায় ২২,০০০ বুথে নির্বাচন পরিচালনা করতে হবে এবং কোভিডের কারণে আমাদের আরও নির্বাচনী কর্মী এবং পুলিশি ব্যবস্থা দরকার। আমরা ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের সাথে এই বিষয়ে কথা বলেছি। আমরা নির্বাচন পরিচালনার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত।"
দুর্গাপূজার ছুটির আগে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে রাজ্যে চারটি বিধানসভা উপনির্বাচন শেষ হওয়ার পরে পুরসভাগুলির মুলতুবি নির্বাচন সম্পন্ন হবে।
সোমবার রাজ্যের নগরোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেছেন: "যখনই রাজ্য নির্বাচন কমিশন ১১২ টি পৌরসভার ভোট ঘোষণা করুক, আমরা নির্বাচনের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত।"
- with Agency Input
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন