রিয়েল এস্টেটের জন্য সরকারি জমি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন। জমি লিজ দিয়ে কোম্পানিগুলি থেকে লাভজনক আয় হচ্ছে না সরকারের। তাই জন্যই এই পথে হাঁটতে চলেছে রাজ্য সরকার। এমনটাই দাবি করা হয়েছে সিপিআইএম মুখপত্র গণশক্তিতে।
সরকারি জমি থেকে কীভাবে আয় করা যায় তার রাস্তা খুঁজছে রাজ্য। আগে বিভিন্ন কোম্পানিকে জমি লিজ দিত সরকার। তার বদলে এবার সরাসরি জমি বেচে দেবে সরকার। নবান্ন সূত্রে খবর, এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে তাতে রাজ্যের কোষগারে একসাথে প্রচুর অর্থ আসবে। লিজ দেওয়ার ফলে সময়মত লাভ্যাংশের পরিমাণ তুলতে ব্যর্থ হচ্ছে রাজ্য। ক্ষতির মুখেও পড়তে হচ্ছে সরকারকে। আশা করা যাচ্ছে জমিগুলি বিক্রি করে দিলে লাভ হবে।
মোট কতগুলি জমি রাজ্য সরকার বিক্রি করবে তার তালিকাও তৈরি হয়েছে। বিক্রির তালিকায় আপাতত ৩০-৩৫ টি জমি রয়েছে। এই তালিকা তৈরি করেছে রাজ্যের ভূমি দপ্তর। ঐ জমিগুলি বিক্রি হলে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা আয় হবে সরকারের। জমির তালিকা পাঠানো হবে রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে। মমতা ব্যনার্জী, আর্থিক পরামর্শদাতা অমিত মিত্র, মুখ্যসচিব ও অর্থসচিব মিলে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করবেন।
গণশক্তিতে এও বলা হয়েছে, ৩০-৩৫টি জমির মধ্যে রয়েছে বন্ধ কারখানার জমি, শিল্প উপযুক্ত কিছু জমি। কিন্তু এখন সেই শিল্পের জমি বিক্রি করে হবে প্রমোটিং। নবান্নের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, লিজ হোল্ড জমিগুলি থেকে সেলামি বাবদ যা আয় হয় তা কম হচ্ছে বা ক্ষতির মুখেই পড়ছে সরকার। তাই সরাসরি জমি বিক্রি হবে রিয়েল এস্টেটের কাছে। রিয়েল এস্টেট সংস্থাগুলি জমি নিলে ইট, বালি, সিমেন্ট থেকে রাজস্ব আদায় করতে পারবে সরকার।
উল্লেখ্য, আলিপুর জেল ও প্রেসিডেন্সি জেলের পার্শ্ববর্তী এলাকায় সরকারি জমি নিলামে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কলকাতার একটি ওয়ার্ডে ১০ একর সরকারি জমি বিক্রি করবে নবান্ন। হিডকোর তত্ত্বাবধানেই ঐ জমি বিক্রি হবে বলে জানা যাচ্ছে। এছাড়াও দুর্গাপুরের বন্ধ কারখানার জমিও বিক্রি করবে রাজ্য সরকার।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন