পুরভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগে সোমবার পথে নামছে বামেরাও। সোমবার রাজ্যের সমস্ত পৌর এলাকায় মহকুমাশাসক বা রিটার্নিং অফিসারের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখাবে বামেরা। এছাড়া কলকাতায় নির্বাচন কমিশনের দপ্তরের সামনে দুপুর ২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত বিক্ষোভ দেখাবে বামফ্রন্ট।
দিনহাটা পৌরসভায় ভোটের নামে গণতন্ত্রের হত্যা করেছে শাসকদল। এই অভিযোগ তুলে মিছিল করলেন বামফ্রন্ট। কালা দিবস পালন করা হলো।
পুরভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে বারাসাতে জেলাশাসকের অফিস ঘেরাও বামেদের। অফিসে ঢুকে বিক্ষোভ দেখান বাম কর্মী-সমর্থকরা। তাঁদের অভিযোগ, শাসকদল বহিরাগতদের এনে দেদার ছাপ্পা দিয়েছে। পুলিশ কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি।
শান্তিপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ১৯৭ নম্বর বুথে ছাপ্পা ভোট দিতে গিয়ে ধরা পড়ল বহিরাগত ভুয়া ভোটার। ওই ওয়ার্ডের সিপিআইএম প্রার্থী প্রীতম রায়ের অভিযোগ অভিযুক্ত যুবক বুথের ভেতর এলে তাকে দেখে সন্দেহ হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে তিনি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তখন তাকে হাতেনাতে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তার পরিচয়পত্র চেক করা হলে দেখা যায় তার বাড়ি অন্য ওয়ার্ডে। এর পরেই তাকে আটক করে পুলিশ। সিপিআইএম প্রার্থীর দাবি অভিযুক্ত শাসকদল আশ্রিত। ছাপ্পার উদ্দেশ্যে বুথের ভেতর এসেছিল সে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত ঘোষ।
রাজপুর-সোনারপুরে ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে নির্দল প্রার্থী মহুয়া দাসের শাড়ি খুলে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ বহিরাগতদের বিরুদ্ধে। বহিরাগতরা বুথে ঢুকে ভোট লুঠ করার চেষ্টা করে, তিনি বাধা দিলে তাঁর ওপর হামলা হয় বলে অভিযোগ।
বুথ দখলকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ধুলিয়ান পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে ভোট গ্রহণ।
দক্ষিণ দমদম পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিআইএম প্রার্থী তানিয়া ঘোষ ও তাঁর বাবাকে মারধরের অভিযোগ উঠলো তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তাঁর এজেন্টকেও মারধর করা হয়েছে, দেওয়ালে মাথা ঠুকে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে বলে অভিযোগ বাম প্রার্থীর।
মহেশতলা ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী দেবাশীষ চৌধুরী নিখোঁজ। তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ কংগ্রেসের। অন্যদিকে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী ভাস্কর দাসের মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের কংগ্রেসের।
মালদার ইংরেজবাজার পৌরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের ১৮৩ নম্বর বুথে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ। বৃদ্ধার হয়ে ভোট দেওয়ার অভিযোগ এক যুবকের বিরুদ্ধে।
পুরভোটে শাসকদলের বিরুদ্ধে ব্যাপক ভোট লুটের অভিযোগ এনে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সামনে বিক্ষোভ পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের নেতা কর্মীদের। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস এর কুশপুতুল পোড়ানো হয়। বিক্ষোভকারীদের সাথে পুলিশের ধস্তাধস্তি হলে তাদের গ্রেফতার করে লালবাজার নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাক্তন বিধায়ক তথা প্রদেশ কংগ্রেসের সহ-সভাপতি অসিত মিত্রকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
দক্ষিণ দমদমের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বুথে তালা মেরে ভোট করাচ্ছে তৃণমূল। অভিযোগ স্থানীয়দের। সাধারণ মানুষ
রাজ্যের পুরসভা নির্বাচনে দুপুর ১টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৪৯.৯১ শতাংশ। কমিশনের তথ্য অনুসারে সবথেকে বেশি ভোট পড়েছে পূর্ব মেদিনীপুরে। ৫৯.১৯ শতাংশ। সবথেকে কম ভোট পড়েছে দার্জিলিং-এ। ৩৬.২২ শতাংশ।
কামারহাটির ২৯ নম্বর বুথে উত্তেজনা। বহিরাগতদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় সাধারণ মানুষ। অভিযোগ তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে। স্থানীয় মানুষরা বহিরাগতদের ধরে ফেলেন। গণধোলাই দেওয়া হয় বহিরাগতদের। গাড়ি ভাংচুর করা হয়। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ বহিরাগতদের এনে এলাকায় বোম মারছিলেন তৃণমূল প্রার্থী।
শান্তিপুর পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থীকে মারধোরের অভিযোগ উঠলো সিপিআই(এম) প্রার্থীর বিরুদ্ধে। তৃণমূল প্রার্থীর অভিযোগ সিপিআই(এম) প্রার্থী মৌমিতা দাস তাঁকে বেধড়ক মারধোর করেছেন। মাটিতে ফেলে তাঁকে জুতোপেটা করা হয়েছে অভিযোগ জানিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী স্নিগ্ধা মুখোপাধ্যায়। সিপিআই(এম) প্রার্থী এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
বারাসাত পৌরসভার ২১ নং ওয়ার্ডের, ১৬৪/২ বুধ, শিবদূর্গা স্কুল। সিপিআই(এম)-এর অভিযোগ তৃণমূল এখানে ভোট দিতে দিচ্ছে না। ভোটারদের ডেকে নখে কালি দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
বারাকপুরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিআই(এম) প্রার্থীর ভাইকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেবার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে সিপিআই(এম) কর্মীরা রাস্তা অবরোধ করে। সিপিআই(এম)-এর অভিযোগ তৃণমূল বিভিন্ন বুথে বহিরাগত জমায়েত করে রেখেছে। সাধারণ মানুষকে ভোট দিতে দিচ্ছে না।
আরামবাগের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বুথে ভোটারদের ভোট দিয়ে দেবার অভিযোগ এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। অভিযোগ বিরোধী অন্য কোনো দলের এজেন্ট নেই এই বুথে। সেই সুযোগে তৃণমূল নেতা নিজেই ভোটারদের ভোট দিয়ে দিচ্ছেন। কাউকে ইভিএম পর্যন্ত যেতে দিচ্ছেন না। ঘটনায় প্রিসাইডিং অফিসারের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
গুসকরায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে অবৈধ জমায়েত, ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ। পুলিশি নিস্ক্রিয়তার প্রতিবাদে ভোটাররা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়ে।
ছাপ্পা দেবার অভিযোগে বিজেপি তৃণমূলের মধ্যে গন্ডগোল। দুই পক্ষ থেকেই অভিযোগ তোলা হয়েছে বহিরাগত আনার। পরবর্তীতে পুলিশ এসে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে বুথের সামনে অবৈধ জমায়েতের অভিযোগ আনে বিজেপি। বিজেপির বিরুদ্ধে অবৈধ জমায়েতের পাল্টা অভিযোগ করে তৃণমূলও।
পুরভোট ঘিরে ভাটপাড়ায় উত্তেজনা। সাংসদ অর্জুন সিং অভিযোগ করেন এলাকায় বহিরাগতদের উৎপাত চলছে। বহিরাগত ঢুকিয়েছে তৃণমূল। এলাকায় বিরাট সংখ্যায় পুলিশ মোতায়েন।
কৃষ্ণনগর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে বহিরাগতদের এনে ছাপ্পা মারার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বহিরাগতদের হাতেনাতে ধরে ফেলে এলাকার বাসিন্দারা। যে টোটো তে করে বহিরাগতরা এসেছিল সেই টোটো গাড়ি ভাঙচুর চালায় এলাকার মানুষ। পরবর্তীকালে পুলিশ গিয়ে ওই বহিরাগতদের আটক করে। যদিও শাসক দলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে তারা। উত্তপ্ত কৃষ্ণনগর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড। ওই এলাকায় বিশাল পুলিশ মোতায়েন।
রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ৩/১৪/১৫/১৬/১৭/২২/২৬/২৮/৩১/৩৫ সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে বাইরের লোক এবং বাইক বাহিনী মুভ করছে। দখলের ব্যবস্থা করছে।
জয়নগর পুরসভা এলাকা পুরোটাই বাহিনীর দখল। অভিযোগ সিপিআই(এম) নেতা সুজন চক্রবর্তীর।
শান্তিপুর পৌরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের ১৬৩ নম্বর বুথে সিপিআইএম প্রার্থী কে মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। জানা যায় বুথের ভেতরেই লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে বচসা শুরু হয়। প্রতিবাদ করেন ওই ওয়ার্ডের সিপিআইএম প্রার্থী সিরিনা বিবি। অভিযোগ এর পরেই ওই ওয়ার্ডের তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলর শাহজাহান শেখ তার দলবল নিয়ে প্রার্থীকে এবং তার পরিবারের লোকজন সিপিআইএম কর্মীদের মারধর করে।
অভিযোগ বহিরাগতদের এনে বিশৃংখলা তৈরি করছে তৃণমূল। তার প্রতিবাদ করার জন্যই এই হামলা। যদিও সিপিএম প্রার্থীর তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছে ওই এলাকার প্রাক্তন কাউন্সিলার শাহজাহান শেখ। তিনি বলেন ভোটে হেরে যাবে জেনে সিপিআইএম প্রার্থী কয়েকজনকে এনে ওই এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছিল। তাকে মারধোর করা হয়নি। ঘটনার পর ওই বুথে আরো পুলিশ বাহিনী এসে উপস্থিত হয়েছে।
ভোট দিতে গিয়ে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। নদীয়ার কৃষ্ণনগর পৌরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ৯৬ নম্বর বুথে সকালে তিনি ভোট দিতে যান। এর পরে লাইনে দাঁড়িয়ে হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ভোট কর্মীরা তাকে তড়িঘড়ি শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। জানা যায় ওই ব্যক্তির নাম লক্ষীকান্ত সাহা। কদিন ধরেই শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন।
নদীয়ার শান্তিপুর পৌরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের ১২৭ নম্বর বুথে বহিরাগতদের এসে ভোট দেয়ার চেষ্টার অভিযোগ। হাতেনাতে ধরে ফেলে ওই ওয়ার্ডের বামফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী তানিয়া মুখার্জি। যদিও ক্যামেরা দেখে অভিযুক্ত যুবকের দাবি তিনি তার দাদুর ভোট দিতে এসেছেন। এর পরে তাকে প্রশ্ন করতেই বুথ ছেড়ে পালিয়ে যায় ওই যুবক। বামফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী তানিয়া মুখার্জির অভিযোগ প্রথম থেকেই শাসকদল ছাপ্পা দেওয়ার চেষ্টা করছে। বুথের ভেতর পরিচয় পত্র ছাড়াই একাধিক ব্যক্তি প্রবেশ করছে। তাই প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। কিভাবে পরিচয়পত্র ছাড়া বুথের ভেতর শাসকদলের লোকজন প্রবেশ করছেন তা নিয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি দায়িত্বে থাকা প্রশাসন।
রাজপুর সোনারপুরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বুথে সিপিআই(এম) এজেন্টকে মারধোরের অভিযোগ। অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ উঠেছে সোনামুখী পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে। স্থানীয় ব্যোমশঙ্কর হাইস্কুলে ব্যাপক সংখ্যায় বহিরাগত জমা হয়েছে বলে অভিযোগ বাম প্রার্থীর।
কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী এবং সমর্থকদের মধ্যে বিবাদের জেরে ভোট বন্ধ রয়েছে জয়নগর পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বুথে। কংগ্রেসের অভিযোগ তৃণমূল প্রার্থী বুথে ঢুকে ভোটারদের প্রভাবিত করছেন।
ভোট গ্রহণের শুরু থেকে ভাটপাড়ার বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে গন্ডগোলের খবর আসছে। ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি-তৃণমূল কর্মীরা। ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ৪৩ নম্বর বুথে ইভিএম মেশিন ভাঙচুর করা হয়।
বহরমপুর পুরসভার একাধিক বুথ থেকে কংগ্রেস এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেলো তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনার খবর পেয়েই ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে যান অধীর চৌধুরী। এজেন্টদের বুথের ভেতরে বসিয়ে দিয়ে আসেন তিনি। পুলিশ নীরব দর্শকের মতো রয়েছে বলে অভিযোগ কংগ্রেস সাংসদের।
নিউ ব্যারাকপুর পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে এজেন্টকে মারধর করার অভিযোগ তুললেন সিপিআইএম প্রার্থী সন্ধ্যা মজুমদার। সংবাদমাধ্যমের সামনে তাঁর আরও অভিযোগ, এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বহিরাগত বাইক বাহিনী। ভোটারদের ভয় দেখাচ্ছে। ভোট দিতে যেতে বাধা দিচ্ছে।
উত্তর দমদমের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের আলীপুর এলাকায় সিপিআইএম প্রার্থী শিবশঙ্কর ঘোষকে রাস্তায় ফেলে মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ভোটারদেরও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। সংবাদমাধ্যম ছবি সংগ্রহ করতে গেলে তাদেরও মারধর করা হয়েছে, ক্যামেরা ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এলাকায় কোনো পুলিশ নেই বলেও অভিযোগ ভোটারদের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও তৃণমূল কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি এখনও।
কোন্নগর পুরসভায় ১০ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থী কৃষ্ণা ভট্টাচার্যকে মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। কোন্নগর বটতলা জিটি রোড অবরোধ বিজেপি কর্মীদের।
কামারহাটির ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে বহিরাগতদের মিছিলকে ঘিরে ছড়ালো উত্তেজনা। বিরোধীদের অভিযোগ, শাসকদল বাইরে থেকে এলাকায় লোক এনেছে। বাইক মিছিল করে তারা ভোটারদের ভয় দেখাচ্ছে। ভোট প্রক্রিয়া প্রভাবিত হচ্ছে।
বারাসাতের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে বুথে ঢুকে তান্ডব চালানোর অভিযোগ বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে। ইভিএম আছড়ে ভেঙে দেন তিনি। স্থানীয়দের সাথে বচসা, খন্ডযুদ্ধ বাধে তাঁর। যদিও বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ, তাদের এজেন্টকে বসতে দেওয়া হয়নি। ছাপ্পা ভোট চলছিল।
ইভিএম ভাঙার পরই বিজেপি প্রার্থীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় ভোটাররা। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আটক করে প্রার্থীকে।
আরামবাগের ১১ নম্বর ওয়ার্ডে বসন্তপুরে বুথের বাইরে সিপিআইএম কর্মী সুশীল বাউরিকে রাস্তায় ফেলে মারধরের অভিযোগ উঠলো তৃণমূলের বিরুদ্ধে। স্থানীয় একজনের বাড়িতে তিনি আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
ভোট শুরুর কিছুক্ষণ পর থেকেই বিক্ষিপ্ত গন্ডগোলের খবর আসছে। রাজপুর-সোনারপুরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিদ্যানিদি স্কুলে উত্তেজনা। বাম-কংগ্রেস-নির্দল প্রার্থীদের এজেন্টদের মারধর করে বুথ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ বহিরাগতদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার রিপোর্ট তলব করেছে কমিশন।
রাজ্যের ২০ জেলার ১০৮ পুরসভাতে চলছে ভোট গ্রহণ। সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। ১০৮ পুরসভায় মোট ২,২৭৬টি বুথ রয়েছে। নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে মোট ৪৪ হাজার রাজ্য পুলিশ। সব বুথকেই স্পর্শ কাতর ঘোষণা করা হয়েছে। সব বুথেই রয়েছে সশস্ত্র পুলিশ, সিসিটিভি ক্যামেরা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন