আসানসোলে আবারও বড়সড় সাফল্য পেলো পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। আরও একটি বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পেল পুলিশ। জানা গেছে, কুলটি থানার অন্তর্গত দিসেরগড়ে জঙ্গলে ঘেরা নির্মীয়মাণ এক বাড়ির ভিতরেই চলত ওই অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির কাজ। সেখান থেকেই ভিন রাজ্যে পাচার হয়ে যেত এইসব বেআইনি অস্ত্র। এমনটাই আশঙ্কা পুলিশের।
এ প্রসঙ্গে শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে আসানসোল পুলিশের ডিসি ওয়েস্ট অভিষেক মোদি বলেন, গত কয়েকদিন আগে বাংলা ঝাড়খণ্ড সীমান্তে পুলিশের নাকা তল্লাশির সময় এক বাইক আরোহীকে গ্রেপ্তার করে কুলটি থানার পুলিশ। ধৃত আস মোহাম্মদ ওরফে বাবলুর কাছ থেকে পুলিশ সেই সময় ২৫ টি নাইন এমএম পিস্তল, ৪৬ টি ম্যাগাজিন ও কার্তুজ উদ্ধার করে। পরে তাকে আসানসোল জেলা আদালতে তোলা হলে আদালত তাঁর ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন বাবলুকে জেরা করে উত্তরপ্রদেশের ফিরোজাবাদের বাসিন্দা আনোয়ার খান ও আফতাব আলমকে কুলটির জাতীয় সড়ক সংলগ্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই দুই ব্যক্তিকে জেরা করে পুলিশ ওই বেআইনি অস্ত্র কারখানার হদিস পায়। যেখানে পুলিশি তল্লাশির পর আন্ডার গ্রাউন্ড এক ঘর থেকে উদ্ধার হয় বেশ কিছু বেআইনি অস্ত্র।
এদিন অভিষেক মোদী জানান, বেআইনি কারখানা থেকে ৭ টি সেভেন এমএম পিস্তল তৈরি অবস্থায় ও ২০ টি অসম্পূর্ণ অবস্থায় উদ্ধার হয়। পাশাপাশি ১৪ টি ম্যাগাজিন সম্পূর্ণ অবস্থায় ও পাঁচটি অসম্পূর্ণ অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। পাশাপাশি ১৩ রাউন্ড কার্তুজও উদ্ধার করে পুলিশ। অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ওই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
প্রসঙ্গত, পশ্চিম বর্ধমান জেলার কুলটি থানা এলাকায় এর আগেও আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির একটি বেআইনি কারখানার সন্ধান পেয়েছিল পুলিশ। কুলটি এলাকা দুস্কৃতীদের আশ্রয়স্থল হয়ে ওঠায় আতঙ্কিত কুলটি এলাকার সাধারণ মানুষ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন