রাজনৈতিক বিষয় নয়। সরস্বতী পূজার দায়িত্ব কার দখলে থাকবেন, তা নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে। ঘটনাটি ঘটেছে বেলুড় লালবাবা কলেজে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাজ্য সরকারের নির্দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে যায়। কলেজ খোলার প্রথমদিনই লালবাবা কলেজের সরস্বতী পূজা ঘিরে দুপক্ষের দ্বন্দ্ব হাতাহাতিতে পৌঁছে যায়। এবার কারা সরস্বতী পুজো করবে, তাই নিয়েই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ঝামেলার সূত্রপাত ঘটে। পরে তা রণক্ষেত্রের আকার নেয়।
জানা গিয়েছে, প্রথমে বাকবিতণ্ডা, তারপর দুই গোষ্ঠীর মহিলা সদস্যরা একে অপরের চুলের মুঠি ধরে হাতাহাতি করে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় বালি থানার পুলিশ। দুই গোষ্ঠীই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে। কলেজের প্রাক্তন সাংস্কৃতিক সম্পাদক প্রজ্ঞা পুরকাইতের অভিযোগ, বালি ব্লক কেন্দ্রের তৃণমূলের আহ্বায়ক অভিজিৎ রায় বহিরাগতদের নিয়ে কলেজে হামলা চালায়।
অন্যদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে অভিজিৎ রায় জানান, এদিনের ঘটনা সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। প্রসূন দে নামে এক ছাত্রের বক্তব্য, ‘আমি সবে ইউনিয়নে যোগ দিয়েছি, কিছুই জানি না। কলেজের গেটে দাঁড়িয়েছিলাম। প্রথমবর্ষের একটি মেয়ে আমাকে ধাক্কা মারে। আমি তার হাত ধরলে সে ঘুরিয়ে আমাকে থাপ্পড় মারে। আমি চিনিও না ওকে ঠিক করে।’
এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ সঞ্জয় পাল বলেন, দুপক্ষ পূজা করতে চেয়ে তাঁর কাছে এসেছিল। তিনি দু'পক্ষকে মিলেমিশে পূজা করার পরামর্শ দেন। কিন্তু কোনও পক্ষ রাজি হয়নি। এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানি হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। যদিও সে ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন বলে দাবি করেন। অবশ্য কলেজের হয়ে এই ঘটনায় পুলিশের কাছে তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন