হিঙ্গলগঞ্জের সভায় গিয়ে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। তাঁর কিনে নিয়ে যাওয়া শীতবস্ত্র সভাস্থল থেকে কার্যত উধাও। ওই অঞ্চলের প্রশাসনিক প্রধান ও দলীয় নেতাদের উদ্দেশ্যে মঞ্চেই ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি।
মঙ্গলবার উঃ ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যান মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, সেই সভাতে বিতরণের জন্য প্রায় ১৫ হাজার শীতবস্ত্র এনেছিলেন তিনি। কিন্তু সভা শুরুর সময় দেখা যায় ওই শীতবস্ত্রের একটিও সেখানে নেই। মঞ্চেই জেলাশাসক ও বিডিও-কে ডেকে ধমক দেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমার পরিকল্পনা ছিল এখান থেকেই বস্ত্রগুলো বিতরণ করার। তিনদিন আগে থেকেই এখানে আসব বলে এই বনদেবির পুজো উপলক্ষ্যে আমি কম্বল, চাদর এবং সোয়েটারগুলো কিনে এনেছি। আর এসে দেখছি ভোবা! প্রায় ১৫ হাজার বস্ত্র কিনেছি। ৫ হাজার কম্বল, ৫ হাজার চাদর এবং ৫ হাজার সোয়েটার কিনেছি। কোথায় রেখেছে ১৫ হাজার?'
বস্ত্র না পেয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ হন মুখ্যমন্ত্রী। জেলাশাসককে বলেন, ‘বস্ত্রগুলো বিডিও অফিসে রাখার জন্য পাঠাইনি। এটা আমি আশা করিনি। আমি বলেছিলাম ক্যাম্প করে করে দেওয়া হবে। কম পড়লে পরে আমি দেখতাম। পুজো উপলক্ষ্যে এনেছিলাম। সকলকে বলব যতক্ষণ এটা না আসছে আপনারাও বসুন, আমিও বসলাম।'
এরপর প্রায় ২০ মিনিট মঞ্চের ওপর চুপ করে বসে থাকেন মুখ্যমন্ত্রী। কারও সাথে একটিও কথা বলতে দেখা যায়নি এই সময়ের মধ্যে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা ও প্রশাসনিক কর্তারা বস্ত্র জোগাড়ের তোড়জোড় শুরু করেন।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর তড়িঘড়ি নিয়ে আসা হয় কিছু বস্ত্র। ১৫ হাজার প্রদানের পরিকল্পনা থাকেলও তা সম্ভব হয়নি। বাকি বস্ত্র বুধবার দেওয়া হবে বলে জানিয়ে সভা শেষ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বুঝতে পারছেন সব ধরা পড়ে যাচ্ছে। ওনাকে এখন নাটক করতে হবে। এসব তার অংশ। মুখ্যমন্ত্রী অস্থিরতায় ভুগছেন। ওনার পুলিশ বাহিনী ওনার দুষ্কৃতিদের পাহাড় দিতে দিতে ক্লান্ত। উনি দুষ্কৃতিদের কিছু বলতে পারছেন না বলেই পুলিশকে ধমক দিচ্ছেন। একই ভাবে প্রশাসনিক আধিকারিকদেরও ধমক দিচ্ছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন