শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেফতার হলেন পাণ্ডুয়ার এক যুব তৃণমূল নেতা। ধৃতের নাম মোমিন হোসেন। যিনি পাণ্ডুয়ার ক্ষীরকুন্ডি নিয়ালা নামাজ গ্রামের যুব তৃণমূলের সভাপতি।
ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার পাণ্ডুয়ার জয়পুরে জিটি রোডের কাছে। নির্যাতিতা তরুণীর পরিবার সূত্রে খবর, ওইদিন রাত ৮ নাগাদ তরুণীকে গাড়িতে তোলেন মোমিন হোসেন। জোর করেই তাঁকে তোলা হয়েছিল। গাড়িতে তুলেই তাঁর শ্লীলতাহানি করে মোমিন। দু'দফায় চলে নির্যাতন। দ্বিতীয়বার চলন্ত গাড়ি থামিয়ে সিমলাগড়ের কাছে শ্লীলতাহানি করা হয় বছর ঊনিশের ওই তরুণীর।
পুলিশ সূত্রে খবর, দ্বিতীয়বার নির্যাতনের সময় নির্যাতিতার চিৎকার শুনে স্থানীয় মানুষজন এসে উদ্ধার করে তাঁকে। পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়দেরই একাংশ। তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে এসে অভিযুক্তদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
নির্যাতিতার দাদু বলেন, 'আমি বাড়িতে ছিলাম। পাড়ার এক যুবক এসে আমাকে থানায় যেতে বলে। আমি গিয়ে দেখি আমার নাতনি থানাতে বসে আছে। ওর মা নেই। পুলিশ আধিকারিকদের যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহণের আবেদন জানিয়েছি'।
শুধু শ্লীলতাহানিই নয়। মোমিনের বিরুদ্ধে একাধিক সমাজবিরোধী ক্রিয়াকলাপের অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা। তাঁরা জানান, যুব তৃণমূল সভাপতি হওয়ার পর থেকেই এলাকায় মোমিনের দাদাগিরি বেড়ে গেছে। জোর করে অন্যের দোকান দখল করা থেকে শুরু করে তোলাবাজি করা সবই চলে প্রকাশ্য দিবালোকে। শাসক দলের নেতা হওয়ায় বেশিরভাগ মানুষই প্রতিবাদ করতে ভয় পায়।
ধৃত মোমিনকে শনিবার চুঁচুড়া জজ কোর্টে তোলা হয়। সেখানে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। সাথে পুলিশকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে গোটা ঘটনার চার্জশীট পেশ করারও নির্দেশ দেয় আদালত।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন