তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির পুত্র অভিজিৎ মুখার্জি! যদিও তিনি পরিষ্কারভাবে কিছু বলতে চাননি কিন্তু তাঁর সাম্প্রতিক কালের ট্যুইটগুলো কালের টুইটগুলি পর্যালোচনা করে দেখলে বোঝা যাবে যে বর্তমান কংগ্রেস দলে খুশি নন তিনি।
গত শুক্রবার মুকুল রায়ের তৃণমূলে ফেরার পরই অভিজিৎ মুখার্জির তৃণমূলে যোগাদান নিয়ে রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন শুরু হয়। তখন তিনি টুইট করে জানান, "আমি আমার দল পরিবর্তনের ব্যাপারে এখনও কিছু ভাবিনি এবং কারোর সাথে আলোচনাও করিনি।"
এমনকি ওইদিনই গত শুক্রবার সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া একটা সাক্ষাৎকারে তিনি জানান যে, "আমি কংগ্রেসেই থাকছি, তৃণমূল বা অন্য কোনো রাজনৈতিক দলে আমি যোগ দিচ্ছি না।" কিছুটা ব্যাঙ্গের সুরেও বলেন, কলকাতা থেকে ৩০০ কিমি দূরে জঙ্গীপুরে থেকে কিভাবে আজকেই অন্য কোনো দলে যোগ দেওয়া সম্ভব। টেলিপোর্ট করে না পাঠালে তো কোনো উপায় নেই।
কিন্তু আজ সোমবার সেই টুইটটি মুছে দেন প্রণবপুত্র। ফলে ফের জল্পনা তৈরি হয়ে তাঁর দলবদলের। যদিও এই ব্যাপারে সরাসরি কিছু বলেননি তিনি।
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, গত কয়েক দিন ধরে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের সাথে যোগাযোগ রেখেছেন অভিজিৎ। আরো জানা গেছে, তৃণমূল কংগ্রেস থেকে তাঁকে বলা হয়েছে তিনি যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে যোগ দেন তাহলে তাঁকে জঙ্গিপুর বিধানসভা আসনে প্রার্থী করা হতে পারে। সম্প্রতি জঙ্গিপুরে আনাগোনাও বেড়েছে তাঁর। গত সপ্তাহেই তৃণমূল সাংসদ আবু তাহের এবং রাজ্যের দুই মন্ত্রীর সাথে অভিজিৎ মুখার্জির বিশেষ বৈঠক হয়েছে বলে জানা গেছে। কাকতালীয়ভাবে এইদিনই বজ্রাঘাতে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সাথে দেখা করতে মুর্শিদাবাদ যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকেই জয়ী হয়েছিলেন অভিজিৎ মুখার্জি। তাঁর বাবা প্রণব মুখার্জিও এই জঙ্গিপুর কেন্দ্র থেকে জিতেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছিলেন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে জঙ্গিপুরের সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী প্রদীপ নন্দীর মৃত্যু হওয়ায় একুশের নির্বাচনে এই আসনটির ভোট স্থগিত রয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন