সোশ্যাল মিডিয়ায় খোলাখুলি আলোচনা বা বাক স্বাধীনতাকে দমিয়ে রাখা যায় না। সুস্থ গণতন্ত্রে এটা থাকা অত্যন্ত জরুরি। এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে একথা জানিয়েছেন দেশের অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল।
এনডিটিভি-র প্রতিবেদন অনুসারে - সোশ্যাল মিডিয়ার স্বাধীনতার পক্ষে সওয়াল করে বেণুগোপাল বলেন, "সুস্থ গণতন্ত্রের জন্য, সোশ্যাল মিডিয়ায় খোলাখুলি আলোচনায় কোনো প্রতিরোধ সৃষ্টি করা উচিত নয়। সুপ্রিম কোর্টও এই বিষয়ে কোনো হস্তক্ষেপ করে না, যতক্ষণ না বিষয়টি তার সীমা না ছাড়ায়।"
তিনি আরও বলেন, "সোশ্যাল মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা অপ্রয়োজনীয় এবং এর স্বাধীনতা হ্রাসের জন্য কোনো পদক্ষেপ নেওয়া উচিত নয় সরকারের। আমাদের আরও উন্মুক্ত গণতন্ত্র এবং আরও খোলাখুলি আলোচনার প্রয়োজন।"
অ্যাটর্নি জেনারেলের কথায়, আইনি পদক্ষেপের প্রয়োজন, যদি এরকম কোনো বিষয় চিহ্নিত হয়, তাহলে সুপ্রিম কোর্ট তার মোকাবিলায় করতে "খুশিই" হবে। তিনি বলেন, "যতক্ষণ না পর্যন্ত কোনো বিষয়ে আদালত অবমাননা হচ্ছে, ততক্ষণ সেই বিষয়ে কোনো হস্তক্ষেপ করবে না সুপ্রিম কোর্ট। বিরল থেকে বিরলতর ক্ষেত্রেই অবমাননার মামলা করে সুপ্রিম কোর্ট।"
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি আত্মহত্যার মামলায় গ্রেফতার হওয়া রিপাবলিক টিভির সাংবাদিক অর্ণব গোস্বামীকে সাতদিনের মধ্যে জামিন দেওয়ায় ট্যুইটারে সুপ্রিম কোর্টের সমালোচনা করেছিলেন কমেডিয়ান কুনাল কামরা। এই ঘটনায় কুনাল কামরার বিরুদ্ধে অবমাননার মামলা দায়ের করার জন্য বেশ কয়েকজন আইনজীবী অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছ থেকে অনুমতি চেয়েছিলেন। প্রায় ১১ জনকে কুনাল কামরার বিরুদ্ধে অবমাননার মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছিলেন তিনি। অ্যাটর্নি জেনারেলের এই পদক্ষেপে দেশজুড়ে সমালোচনা হয়েছিল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন