দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবা এখনও উন্নত নয়, অবিলম্বে স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ বাড়ানো উচিৎ - কে কে শৈলজা

এখন কেন্দ্রে বামেরা ক্ষমতায় থাকলে স্বাস্থ্য পরিষেবা ও শিক্ষা ব‍্যবস্থাকে জাতীয়করণ করতাম আমরা। ধনী বা গরিব - সকলকেই যথার্থ চিকিৎসা দিতে সরকারের উচিত স্বাস্থ্য পরিষেবার ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখা।"
কে কে শৈলজা
কে কে শৈলজাফাইল ছবি সংগৃহীত
Published on

বামেরা কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকলে স্বাস্থ্য পরিষেবা ও শিক্ষা ব‍্যবস্থাকে জাতীয়করণ করত। Business Line-এ দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে এই দাবি করলেন বাম শাসিত কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা সিপিআইএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কে কে শৈলজা। তাঁর মতে, ধনী-গরীব সকলকে যথার্থ চিকিৎসা দিতে সরকারের উচিত স্বাস্থ্য পরিষেবার ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখা।

"এখন কেন্দ্রে বামেরা ক্ষমতায় থাকলে স্বাস্থ্য পরিষেবা ও শিক্ষা ব‍্যবস্থাকে জাতীয়করণ করতাম আমরা। ধনী বা গরিব - সকলকেই যথার্থ চিকিৎসা দিতে সরকারের উচিত স্বাস্থ্য পরিষেবার ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখা।"

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ভয়াবহ চেহারা নিয়েছে দেশে। দৈনিক সংক্রমণ প্রায় ৪ লাখ ছুঁতে চলেছে। দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও ৪ হাজারের গন্ডির কাছাকাছি। এককথায় দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে কে কে শৈলজার পরামর্শ জানতে চাওয়া হয়। এর উত্তরে তিনি বলেন, "আমি একজন বামপন্থী। দেশের বর্তমান স্বাস্থ্যনীতি নিয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। কিন্তু এখন কেন্দ্রে বামেরা ক্ষমতায় থাকলে স্বাস্থ্য পরিষেবা ও শিক্ষা ব‍্যবস্থাকে জাতীয়করণ করতাম আমরা। ধনী বা গরিব - সকলকেই যথার্থ চিকিৎসা দিতে সরকারের উচিত স্বাস্থ্য পরিষেবার ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখা।"

"সরকারের উচিত বেসরকারিভাবে পরিষেবা দেওয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করা যাতে তারা দুর্বল ও গরীবদের শোষণ করতে না পারে।"

তিনি বলেন, "কেন্দ্রের বর্তমান সরকারের আদর্শ পুঁজিবাদী। কিন্তু এই পুঁজিবাদী আদর্শের মধ্যে থেকেও জনস্বাস্থ্য ব‍্যবস্থার উন্নতি করার চেষ্টা করতে হবে সরকারকে। সরকারের উচিত বেসরকারিভাবে পরিষেবা দেওয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করা যাতে তারা দুর্বল ও গরীবদের শোষণ করতে না পারে।"

"করোনা মহামারী দেশকে দুটি বড় শিক্ষা দিয়েছে। প্রথম, দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবা এখনও যথেষ্ট উন্নত হয়নি। এর জন্য যথাযথ পরিকল্পনা এবং তার বাস্তবায়ন প্রয়োজন। দ্বিতীয়, অবিলম্বে স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ বাড়ানো।"

তাঁর কথায়, এই করোনা মহামারী দেশকে দুটি বড় শিক্ষা দিয়েছে। প্রথম, দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবা এখনও যথেষ্ট উন্নত হয়নি। এর জন্য যথাযথ পরিকল্পনা এবং তার বাস্তবায়ন প্রয়োজন। দ্বিতীয়, অবিলম্বে স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ বাড়ানো। দেশের জিডিপির মাত্র এক শতাংশ স্বাস্থ্য খাতে ব‍্যয় করে ভারত। শৈলজার মতে, এটা কমপক্ষে ১০ শতাংশ হওয়া উচিত। প্রাইমারি, সেকেন্ডারি এবং টারশিয়ারি লেভেলের স্বাস্থ্যে আরো বেশি বিনিয়োগ করা উচিত। নিয়ন্ত্রণ সহ বিকেন্দ্রীকরণের পরিকল্পনা থাকতে হবে। এক্ষেত্রে উদাহরণ হিসেবে কিউবা, স্ক্যান্ডিনেভিয়ার দেশগুলির কথা উল্লেখ করেছেন তিনি।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in