এক মাসের মধ্যে ৩৪৫টি গ্রিভেন্স রিপোর্টের ভিত্তিতে ২০ লক্ষ ভারতীয়র অ্যাকাউন্ট ব্যান করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। অনলাইনে হেনস্থা রুখতে ও ইউজারদের সুরক্ষিত রাখতেই এই পদক্ষেপ বলে দাবি করা হয়েছে সংস্থার তরফে। বৃহস্পতিবার এই ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্মের তরফে একটি রিপোর্টে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। নতুন ডিজিটাল আইন অনুসারেই এমনটা করা হয়েছে বলেও হোয়াটসঅ্যাপের তরফে জানানো হয়েছে।
দেশের নয়া তথ্য প্রযুক্তি আইন অনুযায়ী, যে সমস্ত ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ৫০ লক্ষের বেশি ইউজার রয়েছে তাদের প্রত্যেক মাসে এই রিপোর্ট জমা দিতে হবে। যেখানে সংস্থাটিকে জানাতে হবে, এক মাসে তারা কী কী অভিযোগ পেয়েছে এবং সেই অভিযোগের ভিত্তিতে কর্তৃপক্ষ কী পদক্ষেপ করেছে।
বৃহস্পতিবার হোয়াটসঅ্যাপের তরফে জানানো হয়েছে, তাদের প্রধান লক্ষ্যই হল বৃহৎ পরিসরে যা ক্ষতিকারক, তেমন হিংসার বার্তা আটকানো। একইসঙ্গে অবাঞ্চিত বার্তা প্রেরকদের গতিবিধি রোখা। এর জন্য উন্নত তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্য নিয়েছে তারা। চলতি বছরের ১৫ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত এমন বহু অভিযোগ এসেছে।
ওই সময়সীমার মধ্যে নয়া তথ্যপ্রযুক্তি আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মোট ২০৪ টি অভিযোগ এসেছে বলেও জানিয়েছেন হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ। যার মধ্যে ৬৩ টি ক্ষেত্রে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় পদক্ষেপ করা হয়েছে। ভারতে হোয়াটসঅ্যাপ ইউজারের সংখ্যাপ্রায় ৪০ কোটির কাছাকাছি। এরমধ্যে ২০ লক্ষ অ্যাকাউন্টের গতিবিধি শক্ত হাতে প্রতিহতও করেছে তারা।
হোয়াটসঅ্যাপের তরফে জানানো হয়েছে, ৯৫ শতাংশের বেশি ব্যান করা হয়েছে ‘বাল্কমেসেজ’ পাঠানোর জন্য। গত ২৬ মে থেকে নয়া তথ্যপ্রযুক্তি আইন অনুযায়ী, গুগল, কু, টুইটারও তাদের সার্বিক রিপোর্ট জমা দিয়েছে। ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুকও রয়েছে সে তালিকায়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন