চলতি বছরের প্রথম তিনমাসের মধ্যে ভারতে ৩৩ শতাংশ সাইবার ক্রাইম বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি, বিশ্বের টার্গেট দেশগুলির মধ্যে ভারত একটি হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি চেক পয়েন্ট সফটওয়্যার টেকনোলজিস লিমিটেডের প্রতিবেদনে এমনই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাইবার অপরাধীরা কম্পিউটারের মাধ্যমে মানুষ এবং তাঁর ব্যবসার উপর নজরদারি চালায়। ফিশিং স্ক্যাম নামক বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে তথ্য চুরির জন্য।
সাইবার হামলার বৃদ্ধির পিছনে কারণ কী? প্রতিবেদনে জানাচ্ছে, একটি দুর্বল পিন কোড যেকোনো সিস্টেম লঙ্ঘন করার অন্যতম একটি সহজ উপায়। দুর্বল পিনের মধ্যে পড়ে ১২৩৪, ০০০০ অথবা ব্যক্তিগত তথ্য যেমন জন্ম তারিখ বা ফোন নম্বর।
ইনফরমেশন ইজ বিউটিফুল- এর একটি সাম্প্রতিক সাইবারসিকিউরিটি স্টাডিতে দেখানো হয়েছে বেশিরভাগ মানুষ তাদের নিরাপত্তা কোডে সাধারণ প্যাটার্ন ব্যবহার করার প্রবণতা রাখেন। ৩.৪ মিলিয়ন পিন পরীক্ষা করে দেখা গেছে, সবচেয়ে সাধারণ পিনগুলি হল – ১২৩৪, ১১১১, ০০০০, ১২১২, ৭৭৭৭, ১০০৪, ২০০০, ৪৪৪৪, ২২২২, ৬৯৬৯।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যাকাউন্ট এবং ডিভাইসগুলির পিন নির্বাচন করার সময় নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ৷ একটি শক্তিশালী পিন উল্লেখযোগ্যভাবে আপনার তথ্যে বিনা অনুমতিতে অন্য কারোর নজরদারির ঝুঁকি কমাতে পারে।
ESET সাইবারসিকিউরিটি বিশেষজ্ঞ জেক মুর সাধারণ পিন কোড ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছেন। জেক মুরের মতে, বহু মানুষ এটিকে গুরুত্ব দেয়না যতক্ষণ না পর্যন্ত তাঁরা এটার শিকার হচ্ছেন।
গ্লোবাল সাইবার সিকিউরিটি উপদেষ্টা দৃঢ়ভাবে সুপারিশ করেন, সামাজিক মিডিয়া সহ ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টের পিনের জন্য জন্মের বছর দেওয়া এড়িয়ে চলুন। ব্যক্তিগত তথ্য দেবেন না। সহজে অনুমান করা যায় এমন পিন ব্যবহারের ফলে "সাইবার অপরাধীরা আরও সহজে তাদের টার্গেট লক্ষ্য করতে সক্ষম হন, তিনি জানিয়েছেন।
কিছু ব্যবহৃত পিন হল – ৮৫৫৭, ৮৪৩৮, ৯৫৩৯, ৭০৬৩, ৬৮২৭, ০৮৫৯, ৬৭৯৩, ০৭৩৮, ৬৮৩৫ এবং ৮০৯৩।
যদিও সমস্ত ধরণের সতর্কতা অবলম্বন সত্ত্বেও পিন কোড হ্যাক হতে পারে। সেকারণে জেক মুর অতিরিক্ত নিরাপত্তার জন্য পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ব্যবহার করার পরামর্শ দেন। যার ফলে সাধারণ মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য রক্ষা পায়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন