ফের সাফল্যের শিরোনামে উঠে এল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত বিশ্ববিখ্যাত স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় প্রতি বছরের মত এবারও বিশ্বের সেরা বিজ্ঞানীদের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। আর সেই তালিকায় বিশ্বের সেরা ২ শতাংশ বিজ্ঞানীদের মধ্যে নাম রয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪২ জনের।
২০২১ সালের তুলনায় চলতি বছর স্ট্যানফোর্ডের প্রকাশিত তালিকায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের সংখ্যাটা অনেকটাই বেশি। গত বছর স্ট্যানফোর্ডের তালিকায় নাম ছিল যাদবপুরের ২৯ জন শিক্ষক-গবেষকদের।
সূত্রের খবর, যে যে বিষয়গুলির উপর স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের সেরা বিজ্ঞানীদের নির্বাচন করেছে সেগুলি হল :-
১) বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি ক্ষেত্রে গবেষকদের মান, ২) গবেষণাপত্রে অংশগ্রহণ, ৩) লেখক হিসেবে মেধাতালিকায় কত নম্বরে নাম রয়েছে, ৪) গবেষণাপত্রের 'সাইটেশন' এবং 'এইচ-ইন্ডেক্স'।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশিত তালিকায় ভারতের মোট ৩,৭৯৬ জন শিক্ষক-গবেষক রয়েছেন। তার মধ্যে কেন্দ্রীয় এবং প্রাদেশিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে যাদবপুরের বিজ্ঞানীদের সংখ্যা সর্বোচ্চ।
তবে, যাদবপুরের আগে স্থান পেয়েছে বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স, আইআইটি দিল্লি, আইআইটি খড়্গপুর, আইআইটি বম্বে, আইআইটি মাদ্রাজ, আইআইটি কানপুর এবং আইআইটি রুরকি এবং পশ্চিমবঙ্গের তরফ থেকে রয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম। স্ট্যানফোর্ডের তালিকায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ জন বিজ্ঞানীর নাম রয়েছে।
সাম্প্রতিককালে চরম আর্থিক সংকটের মুখে দাঁড়িয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। যতদিন যাচ্ছে ততই কেন্দ্র এবং রাজ্য উভয় সরকারই আর্থিক সাহায্যের হাত সংকুচিত করছে বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতেও বিশ্বের সেরা বিজ্ঞানীদের তালিকায় নিজেদের জায়গা করে নেওয়া যথেষ্ট প্রশংসনীয়।
এ প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস জানান, গতবছরের তুলনায় এইবছর সাফল্যের দিকে আরও একধাপ এগিয়ে গেল যাদবপুর। বিজ্ঞানীদের তালিকায় যাদবপুরের আগে কোনও কেন্দ্রীয় বা প্রাদেশিক বিশ্ববিদ্যালয় নেই। স্বল্প আর্থিক সংস্থান নিয়েই যাদবপুর পঠনপাঠনের পাশাপাশি গবেষণা ক্ষেত্রেও বিশ্বমানকে ছুঁতে পেরেছে।
স্ট্যানফোর্ডের তালিকায় থাকা যাদবপুরের সেরা বিজ্ঞানীদের মধ্যে রয়েছেন কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক উজ্জ্বল মৌলিক। তাঁর কথায়, যত দিন যাচ্ছে, ততই গবেষণাক্ষেত্রে আর্থিক অনুদান কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই আর্থিক সংকটের মধ্যে দাঁড়িয়েই যাদবপুরে বিশ্বমানের গবেষণা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন