ভারতে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা AI-এর জনপ্রিয়তা। গত দুই বছরে দেশের পেশাদারি জগতে দ্বিগুণের বেশি প্রচলিত হয়েছে AI-এর প্রয়োজনীয়তা। আর ঠিক সেই কারণেই ২০৩০ সালের মধ্যে দেশীয় কোম্পানিগুলিতে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে চাকরিপ্রার্থীদের প্রয়োজনীয় দক্ষতায় প্রায় ৬৫ শতাংশ পরিবর্তন আসবে। সম্প্রতি এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স-এর নয়া রিপোর্টে।
গত আগস্ট মাসে বিশ্বব্যাপী ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে ১৩১৩ জন HR পেশাদার-সহ মোট ২৯ হাজার পেশাদারদের নিয়ে একটি সমীক্ষা করা হয়েছে। গত বুধবার সেই সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতে কাজের জন্য দেওয়া বিজ্ঞাপনগুলির মধ্যে দ্বিগুণেরও বেশি বিজ্ঞাপনে AI বা Genarative AI-এর উল্লেখ থাকছে। যারা উল্লেখ করছেন না তাঁদের তুলনায় সংখ্যাটা প্রায় ২.১ গুণ। এই বিষয়ে প্রায় একই কথা বলছে লিঙ্কডিনও।
মার্কিন ওই পেশাদার নেটওয়ার্কিং প্ল্যাটফর্মের তথ্য অনুযায়ী, গত দুই বছরে ভারতে কাজের বিজ্ঞাপনগুলিতে AI বা Gen AI-এর উল্লেখ বেড়েছে প্রায় আড়াইগুণ। রিপোর্ট আরও বলছে, বর্তমানে ভারতে প্রায় ৯৮ শতাংশ পেশাদারী মানুষ AI-এর সাহায্যে কাজ করার ক্ষেত্রে উৎসাহী। আবার কর্মজীবনে উন্নতি করার জন্য AI-এর পরামর্শ নিতে আগ্রহী ৭৫ শতাংশ মানুষ এবং কাজের জায়গায় কঠিন পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য AI-এর সাহায্য নিতে চান ৭৮ শতাংশ মানুষ।
এই বিষয়ে লিঙ্কডিন-এর ট্যালেন্ট অ্যান্ড লার্নিং সলিউশান বিভাগের প্রধান রুচি আনন্দ জানিয়েছেন, “কোম্পানিগুলি তাদের বর্তমান এবং ভবিষ্যত কর্মীদের থেকে কী কী দক্ষতা চায়, সেটা বিবেচনা করার জন্য তাদের এই মুহূর্তটিকে বিশেষভাবে বিবেচনা করে দেখা উচিত। AI-কে একটি গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারলে HR-রা তাঁদের দৈনিক কাজগুলিকে আরও সরলীকরণ করার ক্ষেত্রে মনোনিবেশ করতে পারবেন। মানুষ-কেন্দ্রীক দায়িত্বগুলির ক্ষেত্রেও আরও জোর দিতে পারেন। যাতে কোম্পানিগুলি সবচেয়ে সেরা প্রতিভাবানদের কাছে লাগিয়ে নিজেদের ব্যবসাকে আরও সমৃদ্ধ করতে পারেন।”
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন