আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন কর্মী ছাঁটাইয়ের। তা বাস্তবায়িতও করবেন খুব শীঘ্রই। ট্যুইটারের দায়িত্ব নিয়ে এবার ৩৭০০ জন কর্মীকে ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন এলন মাস্ক। কোনো নোটিশ ছাড়াই ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে মাস্কের বিরুদ্ধে মামলাও করেছেন কর্মীরা।
ট্যুইটারের নতুন মালিক এলন মাস্ক পর্যাপ্ত নোটিশ না দিয়েই নিজের ইচ্ছামতো কর্মী ছাঁটাই করতে চাইছেন। এমনই অভিযোগ তুলে ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সিসকো ফেডেরাল আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ট্যুইটারকর্মীরা।
আদালতে মামলাকারীদের আইনজীবী বলেন, ফেডেরাল ওয়ার্কার অ্যাডজাস্টমেন্ট অ্যান্ড রিট্রেনিং অ্যাক্ট-র নিয়মানুযায়ী বড় কোম্পানিগুলিকে ছাঁটাইয়ের ৬০ দিন আগে বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হবে। কিন্তু ট্যুইটার তা করেনি। বদলে ট্যুইটার তাদের কর্মীদের একটি নথিতে স্বাক্ষর করাচ্ছে, যাতে তাঁরা মামলা না করেন। এটা বেআইনি। ট্যুইটারকে আদালতের তরফ থেকে সাবধান করা উচিত।
ট্যুইটারের পক্ষ থেকে জনানো হয় - কোম্পানির সার্বিক উন্নয়নের জন্য কর্মী ছঁটাইয়ের পথ বেছে নিতে আমরা বাধ্য হচ্ছি। সকলের অবদানই গুরুত্বপূর্ণ আমাদের কাছে। কিন্তু তাও আমরা দুঃখিত। সকল কর্মী শুক্রবার একটা মেইল পাবেন। তাতেই জানতে পারবেন আপনার চাকরির অবস্থান সম্পর্কে।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে প্রায় ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের বিনিময়ে টুইটার অধিগ্রহণ সম্পন্ন করেন ধনকুবের এলন মাস্ক (Elon Musk)। তারপরেই সংস্থার শীর্ষ আধিকারিক হিসাবে সিইও পরাগ আগরওয়াল (CEO Parag Agrawal), সংস্থার চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার নেড সেগালকে (CFO Ned Segal), সংস্থার প্রধান আইনি প্রধান (পলিসি ও ট্রাস্ট) বিজয়া গাড্ডে (Vijaya Gadde), টুইটারের পরামর্শদাতা শন এজেটকে (Sean Edgett) ছাঁটাই করেন তিনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন